সত্যেন্দ্র নাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : কঞ্চি থেকে বাঁশ এবং এর থেকে উৎপাদিত পন্য বাজার বিপনন থেকে শুরু করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ সম্ভাবনার দ্বার প্রান্তে ডোমার নীলফামারী আঞ্চলিক বাঁশ গবেষনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র । বাঁশের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের জীবনমান এর আমুল পরিবর্তন ঘটবে – বললেন নীলফামারী বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র অফিসার্স ইনচার্জ মো: আনিছুৃর রহমান । তিনি আরো বলেন , রংপুর বিভাগের ৫৮ উপজেলায় ১টি গ্রুপে ৩০জন করে ৬০টি দলের মধ্যে ৪১টি গ্রুপের ট্রেনিং সমাপ্ত হয়েছে। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৯ দলের ট্রেনিং এখনও বাকী । প্রজেক্টের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২১ইং এক্সটেনসন হওয়ায় আগামী ৩ মাসের মধ্যে বাকী দলের দ্রুত ট্রেনিং শেষ করা হবে।
বাঁশ দ্বারা যেকোন ধরনের আসবাব পত্র তৈরীর জন্য অফিসে মেশিন মজুদ রয়েছে। অচিরেই মেশিনগুলো স্থাপন করে বাঁশের বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি হবে । যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা হবে। তাছাড়া বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম পদ্ধতিতে বাঁশ চাষীদের সীমিত ব্যায়ে সনাতন পদ্ধতিকে বাদ দিয়ে ঊন্নত মানের ৩৩টি বাঁশের জাত, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে বাঁশের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করা যায়, তা প্রদর্শনী প্লট এর মাধ্যমে চাষীদের মাঝে উপস্থাপন করা হবে । যা পরবর্তীতে বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে ।
প্রসঙ্গত গত ১৫ফেব্রুয়ারী ২০২০ইং তারিখে পরিবেশ , বন ও জলবায়ূু মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন নীলফামারী ডোমার আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন ।