হল-ক্যাম্পাস খোলাসহ ৪ দফা দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

ইবি প্রতিনিধি : আগামী ১ এক জুন হল ও ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করাসহ ৪ দফা দাবিতে ভিসি ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ভিসির অনুপুস্থিতিতে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

শিক্ষার্থীদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী ১ জুন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, স্থগিত ও আটকে থাকার পরীক্ষাগুলো গ্রহণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের দ্রুত ভ্যাকসিন নিশ্চিত করণ এবং করোনাকালে শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিত করণ।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের সম্মুখীন। শিক্ষাজীবন শেষে পরিবারের হাল ধরার দায় থাকে। একদিকে পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারছে না। এদিকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাও পেরিয়ে যাচ্ছে। অনেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্যও আবেদন করতে পারছে না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, ইন্টারনেট মন্থরগতিসহ নানা কারণে ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা-কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হতে পারেনি। আমরা শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ উচ্চশিক্ষার ধারণার পরিপন্থী বলে মনে করছি। কারণ এর ফলে উচ্চশিক্ষাকে কেবল পরীক্ষা নির্ভর ও সার্টিফিকেট সর্বস্ব করে ফেলা হবে। আমরা শিক্ষার্থীরা সকল পরীক্ষা সশরীরে গ্রহণের রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। ভিসি স্যারের সাথে এ বিষয়ে রাতেই কথা বলবো এবং জানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যব্যস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয় খোলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহণে জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমরা প্রতিটা বিভাগে চিঠি দিয়েছি একাডেমিক কমিটির মতামতের জন্য। সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে বেশি মতামত এসেছে। ভিসি স্যার ট্রিটমেন্ট শেষ করে আসলেই দ্রুততম সময়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং হবে। সেখানে সকলের মতামত অনুযায়ী অনলাইনে নাকি সশরীরে পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এর আগে একই দাবিতে গত ২৪ মে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। পরে গত ২৭ মে গলায় দড়ি দিয়ে প্রতিকী ফাঁস নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এছাড়াও সেদিন বিক্ষোভ মিছিল, ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়াইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
Comments (0)
Add Comment