ইবি প্রতিনিধি : চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অস্থায়ী কর্মচারীরা। রবিবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান ও কর্মবিরতি পালন করে তারা। এছাড়া দুপুর ২ টায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদমগামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি অবরোধ করেন তারা।
দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে ১০৭ জন কর্মচারী কাজ করে করছেন। তারা অস্থায়ী চাকুরিজীবী পরিষদ গঠন করে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি করে আসছে। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের আশ্বাসে কাজ করে এলেও চাকরি স্থায়ীকরণের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় প্রায় ১৪ মাস তারা কোন বেতন পাচ্ছে না। যে কমিটি হয়েছে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এখনো চিঠি হাতে পায়নি। এর আগে ট্রেজারার নিয়োগ হওয়ার সাথে সাথে আটকে থাকা ১৪ মাসের বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। আমরা এর কোনো স্থায়ী সমাধান পাইনি।’
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মচারীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছে। দাবির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিলে পূর্ব থেকেই দাপ্তরিক ফাইল আটকে দেওয়াসহ আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন কর্মচারীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত বুধবার (২৩ জুন) সকাল থেকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর ও আমতলায় অবস্থান নেন তারা।
একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন দপ্তরের ফাইল আটকে প্রশাসনিক কাজে বাঁধা দেন বলে জানা গেছে। এদিকে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে সেদিন দুপুরে বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠনের ঘোষণা দিলে কর্মচারীরা তাদের অবস্থান তুলে নেন।
কমিটি কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ রবিবার ফের আন্দোলন শুরু করে অস্থায়ী কর্মচারীরা। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজও সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে ফের তারা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস অবরোধ করেন। প্রায় ৩৫ মিনিট তারা রাস্তায় বসে এ অবরোধ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে ৩ জনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালে তারা অবরোধ তুলে বাস ছেড়ে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ভিসি স্যার ট্রেজারার স্যারকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করেছে। অস্থায়ী কর্মচারীদের কাছে তিনি চিঠি পায়নি এমন ভুল তথ্য গিয়েছে। পরে তারা আহ্বায়ক ট্রেজারার স্যারের চিঠি প্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। পরে তারা দ্রুত রিপোর্টের ব্যবস্থা করার কথা বলে ফিরে এসেছে। বাকি পদক্ষেপ সেই কমিটি গ্রহণ করবে।’