পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার শহীদ সাধন সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুইমাসের বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতা প্রদানসহ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেছেন শিক্ষকরা। শনিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কলেজের শিক্ষক হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে কলেজের চলমান সমস্যার বিষয় নিয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সুমন হাসান ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আনোয়ার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিগত দুইমাসের নিয়মিত বেতন ও বিগত ঈদের উৎসব ভাতা এখনও পাননি কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে কলেজের অধ্যক্ষ মনিরা পারভীন প্রশাসনিক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। করোনা শুরুর পর থেকে তিনি আর কলেজে আসেননি। চলতি বছরের নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
অধ্যক্ষ মনিরা পারভীনকে স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্থ দাবি করে শিক্ষকরা বলেন, কলেজের কোন খোঁজ খবর তিনি রাখেন না। বিগত জুন এবং জুলাই মাসের বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
শহীদের নামে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজের চলমান পরিস্থিতি নিরসনসহ অদক্ষ অধ্যক্ষের হাত থেকে কলেজকে মুক্ত করে শিক্ষার সুস্থ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি শিক্ষকদের। এরই সাথে বিগত দুইমাসের বকেয়া বেতনসহ সকল প্রকারের পাওনা পরিশোধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সাধন কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেলা পারভীন, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নারগীস পারভীন, প্রভাষক মোস্তফা হায়দার, প্রভাষক মোবাশে^রা ইসলাম, সংগীত বিভাগের প্রভাষক হিতেন্দ্র নাথসহ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এদিকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মনিরা পারভীন তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ একক ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ ইচ্ছেমতো কলেজ কেন্দ্রিক নানা অনৈতিক ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্যদের সম্পৃক্ত করছেন এবং কলেজের শিক্ষকদের এই সকল অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে নিয়েছেন। কলেজ পরিচালনার জন্য নিময় অনুযায়ী যে সকল কাজগুলো করা দরকার বা স্বাক্ষর প্রয়োজন সেগুলো আমি করেছি। কিন্তু কোন অনৈতিক কাজে আমি নিজেকে জড়াইনি।