যে দিঘীর পাড়ে প্রতিনিয়ত গড়ে হাজারো গল্প

রহমত উল্যাহ, নোবিপ্রবি : নীলদিঘীর নীলজলের নীরব ঢেউ কারো মনে এনে দেয় প্রশান্তি, থামিয়ে দেয় মনের গহীনের উতালতা।কেউবা বৃক্ষবেষ্টিত চারপাশের ছায়ায় হাওয়া নিয়ে হয় নিবিড়। সারাদিনের ক্লাস, ল্যাবের একঘেয়েমিতা কাটিয়ে শান্তির পরশ খুঁজতে অনেকেই ছুটে আসে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলদিঘীর পাড়ে। পড়ন্ত বিকেলে চোখে পড়ে চড়ুইভাতি,আড্ডা ও গিটারের সুরে বসে গানের আসর।

প্রিয়তম ও প্রেয়সীর নতুন কোনো গল্প বাঁধা কিংবা কোন গল্পের ইতি টানার সাক্ষী এই নীলদীঘী। কিছু গল্প আবার হয়ে রয় ছোট গল্পের ন্যায় শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ। ক্যাম্পাসের কপোত-কপোতীদের ভীর সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে এই দিঘীতেই। হাজারো স্মৃতি জরিয়ে আছে চারপাশের সারি সারি ইটের বেঞ্চগুলোতে !

বন্ধুদের সাথে খুনসুটি থেকে শুরু করে চড়ুইভাতি, বারবিকিউ পার্টি, জন্মদিন উদযাপন সবকিছুই হয়ে থাকে ১০১ একরের এই ছোট্ট নীলদিঘীকে ঘিরে। শরতের আকাশের মিছিমিছি রোদ-বৃষ্টির খেলা উপভোগ করার আদর্শ স্থান নীলদিঘীর সৃজনঘাট, যেখানে শরতের মেঘের উপর বসে কল্পনারাজ্যে হারিয়ে যাওয়া যায় । আবার, হরেকরকম বৃক্ষের ছায়াতল থেকে রোদ্রৌজ্জল আকাশটা দেখতেও মন্দ লাগে না। অন্যদিকে, সন্ধ্যা নামার বেলায় রঙ-বেরঙের আলোতে এক অন্যরকম সুভাস ছড়ায় নীলদিঘী। তখন চায়ের কাপ হাতে নীলদিঘীর পাড়ে হাটতে দেখা যায়।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন বলেন, নীলদিঘী নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের কাছে সত্যিকারের স্বর্গ। ক্লাশের ক্লান্তি, পরীক্ষার ব্যার্থতার ছাপ এলে অবিরাম স্বস্তির জায়গা এই নীলদিঘী। শত প্রেমের উপক্ষান রচিত হওয়া,অভিমান ভাঙ্গানো এবং বন্ধুদের জন্মদিনের উৎসব সবকিছুর এক অনবদ্য জায়গা আমাদের নীলদিঘী। কখনো চড়ুইভাতি উৎসব শেষ বিকেলে কপোত- কপোতীর মিলন, সন্ধ্যায় গানের আসর আর রাতে বারবিকিউ পার্টিতে মুখরিত থাকে ক্যাম্পাসের সকলের প্রিয় এই জায়গাটি। আবার কখনো সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন সমূহের মিটিংয়ে সর্বদা ব্যস্ত থাকে এ প্রাঙ্গন।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিব বলে, “এখানে চড়ুইভাতি ,জন্মদিনের পার্টিসহ সকল পার্টি হয়।আর অবসর সময়ে আড্ডা দিতে ও এখানে আসে”। সৌন্দর্য্যবিলাসীদের। মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশ নিমিষেই চাঙা করে দেয় মনকে।

নোবিপ্রবি
Comments (0)
Add Comment