পাবিপ্রবি প্রতিনিধি : পাবিপ্রবিতে জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে । আজ মঙ্গলবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১ টায় করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
এসময় আরো শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, রসায়ন পরিবার, সমাজকর্ম সমিতি, লোকপ্রশাসন সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলী শহীদদের স্মরণে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে চিরতরে বাঙ্গালির হৃদয় থেকে মুছে দেওয়ার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ধারাবাহিকতায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। পাকিস্তানপন্থীদের স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়। এমন নির্মম ইতিহাস পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবে না। জাতির পিতা এবং জাতীয় চার নেতার আদর্শ বুকে ধারন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ বলেন, ৩ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক কলঙ্কময় অধ্যায়। পরাজিত শক্তি আমাদের বিজয়কে মেনে নিতে না পেরেই এই হত্যাকান্ড চালায়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ, প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস , শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ্। শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজনের করা হয়।