ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মালি পদে নিয়োগের জন্য বিষের বোতল নিয়ে ভাইভাতে অংশগ্রহণ করেন এক আবেদনকারী। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিসির বাংলোয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মালিপদের নিয়োগ বোর্ড চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। আবেদনকারী ওই চাকরীপ্রার্থীর নাম হাসমত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
জানা যায়, হাসমত বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন। তিনি দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রি শাখায় দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে কাজ করেন। একইসঙ্গে তিনি স্থায়ী মালির পদে আবেদন করেন। আজ ভাইভাতে উপস্থিত হয়ে তিনি আবেগের বশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। এ সময় বোর্ডে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. রুহুল কে এম সালেহ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার মুচলেকা ও বিষের বোতল সিলগালা করে প্রক্টর অফিসে রেখে দেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আলী হাসান বলেন, উনি নিয়োগ পাওয়ার জন্য বিষের বোতল নিয়ে ভাইভা দিতে আসে। পরে আমরা ওসিকে খবর দেয়। ওসির উপস্থিতিতে তার কাছে অঙ্গীকারনামা লিখে নেওয়া হয় এবং পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনার সময় ভিসি স্যারের পিএস আমাকে ফোনে জরুরী ডাকেন। দুইজন সহকারী প্রক্টর নিয়ে আমি গিয়ে দেখলাম টেবিলের উপর একটা বিষের বোতল রাখা আছে। বোর্ডের সদস্যদের মাধ্যমে জানতে পারলাম ওই লোক নিয়োগ পাওয়ার জন্য বিষের বোতল নিয়ে ভাইভা দিতে এসেছে। এমনকি তাকে নিয়োগ না দিলে তিনি বিষ খেতেও উদ্যত হন। পরে আমরা ইবি থানার ওসির উপস্থিতিতে বিষের বোতল এবং ওই লোকের অঙ্গীকারনামা লিখে প্রক্টর অফিসে জমা রেখেছি।
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, ওই লোকের অঙ্গীকারনাম এবং বিষের বোতল বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে জমা রয়েছে। আমাদের কাছে তারা হস্তান্তর করেনি৷ হস্তান্তর করলে আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নিতে পারবো।