পাবিপ্রবি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জম্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। সকালে জাতীয় ও বিশ^বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষ করে জাতির পিতার জম্মশত বার্ষির্কীর ম্যুরাল জনক জ্যোতির্ময়ে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.কে এম সালাহ উদ্দীন, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্মসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। এরপর বিভিন্ন বিভাগ, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা পরিচালক, বিভিন্ন হল প্রশাসন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিভিন্ন অফিস, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সকালে পৌনে ১১ টা থেকে কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার চত্বরে পাবনার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির তিন শতাধিক শিশু তিন বিভাগে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
এরপর একই চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। তিনি জানতেন, শিশুরাই দেশকে সামনে এগিয়ে নেবে। তাদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধুর জীবন কর্মকে শিশুসহ সবাইকে ধারণ ও লালন করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। শিশুদের মনে অনেক রঙ, তার বিস্তার ঘটাতে হবে। তাদেরকে সুন্দর পৃথিবী দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন ন্যায়কে ন্যায় বলতে হবে অন্যায়কে অন্যায় বলতে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে। উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জম্মদিনটি যেন পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। তাঁর নীতি আদর্শকে লালন করে ধারণ করে কাজে কর্মে প্রতিফলন ঘটাতে হবে। যুগের সাথে পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান বলেন, ১০০ জন শিক্ষকের চেয়ে একজন ভালো মা শ্রেষ্ঠ। শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে মায়েদের ভ’মিকা বেশি। মায়েরা সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করেন। আমরা যেন সেই মায়েকে ভালোবাসি। দেশও আমাদের কাছে মায়ের মতই। দেশকে ভালোবাসতে হবে। আর এই দেশ উপহার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর নীতি আদর্শ বুকে ধারণ করে আর্ন্তজাতিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
আরেক বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন। এই মহামানবের জম্মদিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক শিশুদের বেড়ে ওঠা নির্বিঘœ করা। তারা যাতে কোন বাধা বিপত্তিতে না পড়ে। শিশুদের পাশে থাকতে হবে, যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে। এই শিশুরাই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও বক্তব্য দেন পাবনা ক্যাডেট কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ এস্কোন্দার আলী। শিশুরা কবিতা আবৃত্তি করেন। এপর্যায়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিশুর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ১৭ মার্চ উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ ও ড. মীর হুমায়ন কবির। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান বিজয় দাশ গুপ্তের নেতৃত্বে একটি কমিটি।
বাদ যোহর কেন্দ্রিয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া জনক জোতির্ময় আলোক সজ্জা করা হয়।