নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল আজ বুধবার উপাচার্য কার্যালয়ে সকালে যোগদান করেছেন। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত সোমবার মহামান্য আচার্য খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের বায়োটেকেনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল’কে আগামী চার বছরের জন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেন।
যোগদান শেষে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানমুখী করে গড়ে তোলা এবং শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের সহযোগিতায় নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে নতুনভাবে বৈষম্যহীন বিশ^বিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দালনে শহীদ এবং আহতদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবো। তাহলেই কেবল তাদের প্রতি সম্মান জানানো হবে। সবাইকে আন্তরিকভাবে দেশের জন্য দায়িত্ব পালন এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতা স্বার্থক করতে কাজ করতে হবে। সবাইকে সহনশীল হয়ে, ত্যাগ স্বীকার করে বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য সর্বোপরি শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। এই বিশ^বিদ্যালয় হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আদর্শ বিদ্যাপিঠ। সকলের সহযোগিতায় বিশ^বিদ্যালয়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য স্বপ্ল ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। তাহলে একসময় বিশ^বিদ্যালয়টি জাতীয়ভাবে অনন্য সুনাম অর্জন করবে যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মানের বিশ^বিদ্যালয় হিসেবে দাঁড়াবে। আমি পাবনার ঐতিহ্য বিশ^বিদ্যালয়ের মাধ্যমে বিশ^বাসীর সামনে তুলে ধরতে চাই। শিক্ষার্থী ও আমার স্বপ্ন অনেক বড়। আমি নতুন কিছু নিয়ে আসতে চাই। সেজনজট দ্রুত কমানোর জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করবো। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও গত ১৫ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুম-খুনের শিকার হওয়াদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিমিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের বাড়িতে যাবেন বলে জানিয়ে বলেন, আহত ছাত্রদের চিকিৎসাসহ তাদের কল্যাণে সবকিছু করার চেষ্টা করবো। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
এদিকে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.এস এম আব্দুল আওয়াল বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহর নামাজ আদায় করেন এবং শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় পরিচালিত দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।