পাবনা প্রতিনিধি : প্রতিবারের মতো এবারও এসএসসি পরীক্ষার তথ্য নিয়ে বিড়ম্বণায় পড়তে হয়েছে পাবনায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের। ভিন্ন ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তায় ফলাফল আসায় নুতন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বেশ কয়েকবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর জেলা ওয়ারী স্কুলগুলোর ফলাফল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এবং জেলা শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিতেই নানা বিড়ম্বণার মধ্যে পড়তে হয়। পরে গণমাধ্যম কর্মীরা উপজেলাওয়ারী, পরীক্ষা কেন্দ্র এবং স্কুল পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। এবারেও সেই বিড়ম্বণার কমতি নেই। ফলাফল ঘোষণার পর জেলা শিক্ষা অফিসে একাধিক বার যোগাযোগ করেও এসএসসি পরীক্ষার মোট পরীক্ষার্থী এবং ঘোষিত ফলাফলে কত জন কৃতকার্য হয়েছে সে তথ্য বিকেল ৫ টা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বেড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. খবির উদ্দিন বলেন, আমার উপজেলায় ২০ টি মাধ্যমিক স্কুল আছে। বিকেল পৌনে ৫ টা পর্যন্ত ৬ টি প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট হাতে এসেছে। এবারে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেজাল্ট হওয়ায় সার্বিক ফলাফল পেতে বড় বিড়ম্বণার মধ্যে পড়েছি। অনুরূপ কথাই বলেছেন জেলার অধিকাংশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে।
জেলা শিক্ষা অফিসার এসএম মোসলেম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম বলেন, স্যার অসুস্থ। জেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কত, ঘোষিত ফলাফলে কত জন জিপিএ-৫সহ কৃতকার্য হয়েছেন এমন তথ্য চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজেও বুঝিনা, এই অফিসের কাজ কি? শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য এখানে থাকার কথা। অথচ এই তথ্যগুলো থাকে এডিসি শিক্ষা স্যারের কার্যালয়ে। আমাদের এখানে কোন তথ্য নেই।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাহেদ পারভেজ বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা নানা ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করতে হয়। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিসের কাজ কি? প্রতিবারই এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আর পরীক্ষায় কৃতকার্যর তথ্য নিয়ে দেখা মারাত্বক বিভ্রাট। কারণ জেলা শিক্ষা অফিসের কাছে কোন তথ্য থাকে না। তাহলে বছর ধরে তারা কি কাজ করেন! বিকেল সাড়ে ৫ টায় এডিসি শিক্ষা এক ক্ষুদে বার্তায় জানান, এবারে মোট ৩৪ হাজার ৯৫৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তন্মধ্যে এসএসসিতে ২৭ হাজার ৫৪৩ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ৩ হাজার ৩৮০ এবং দাখিলে ৪ হাজার ৩১ জন।