সংগীতের প্রধান চারটি উপাদান, কথা/বাণী, সুর, যন্ত্রাণুষঙ্গ ও গায়কি। অধুনা সংগীতের সঙ্গে দৃশ্যতাও যোগ হয়েছে, গান শোনার পাশাপাশি গানের মিউজিক ভিডিও দেখেও দর্শক আনন্দ পান। তবে একটি গানের মূল উপাদানগুলোর উৎকর্ষ না ঘটলে মিউজিক ভিডিও দিয়ে কোনো গানকে উতরে নেওয়া যাবে না। সংগীতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মেধা, জ্ঞান, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার সমন্বয় ঘটলেই কেবল একটি গান সমৃদ্ধ হয়, হৃদয়গ্রাহী হয়, এবং সর্বোপরি কালোত্তীর্ণ হয়। একটি গান হয়তো হঠাৎ মন কাড়তে পারে, একজন শিল্পী চট করে জনপ্রিয়তার বনে যেতে পারেন, কিন্তু মূল উপাদানে ঘাটতি থাকলে তার গান ও সে শিল্পী হারিয়ে যায় অচিরেই। অনেক গায়ক স্বল্প পরিশ্রমে দ্রুত জনপ্রিয় হওয়ার প্রয়াস পান, এর জন্য অনেকেই সংগীত চর্চা না করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।
সংগীতের এই ক্রান্তিকালে নিজের সংগীত সাধনা , দক্ষতা, সৃজনশীলতা অধ্যাবসাইয়ের ম্যাধমে নিজেকে যে একজন প্রতিভাবান কন্ঠশিল্পী হিসেবে সবার মনে স্থান করে নিয়েছে তিনি হচ্ছেন জাহিদ মোহাম্মাদ ।
তিনি এ প্রজন্মের একজন প্রতিভাবান কন্ঠশিল্পী।
জাহিদ মোহাম্মাদ, মূলত, পেশায় একজন সরকারী কর্মকর্তা হলেও সংগীত তাঁর ভালোবাসার ক্ষেত্র।
এই সংগীতের প্রতি তাঁর প্রেম, ভালোবাসা, একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতা প্রবল।
সংগীতের এই ক্রান্তিলগ্নে তিনি তার গায়কী প্রতিভার ভিতর দিয়ে প্রমান করেছেন যে সৃজনশীল গান ও সংগীত অধ্যাবসাইয়ের ম্যাধমে সংগীত ভূবনে বিল্পব আনা সম্ভব।
প্রতিভাবান এই কন্ঠশিল্পী ১৯৮৬ সালের ২০ শে অক্টোবর মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার অন্তর্গত ছাবিনগর গ্রামে পিতা মোঃ আব্দুল মালেক বিশ্বাস ও মাতা জোহরা বেগমের ঘড়ে জন্মগ্রহন করেন, ৭ভাই ও ৩ বোনের ভিতর ‘জাহিদ ‘ ৮ম।
জাহিদ মোহাম্মাদ, ছবিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর শ্রীপুর এমসি পাইলট হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন, তারপর শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
তার সংগীত জীবনের শুভ সূচনা হয় ‘তনুশ্রী সংগীত নিকেতন ‘ থেকে তারপর একে একে তালিম নেন, মায়া ভৌমিক, মিলু ঠাকুর, দীপক শীল, ভরত বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম রুমী ও আশিক দেওয়ানের মত সংগীতজ্ঞের কাছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ‘মিল্টন খন্দকার’এর কথাও সুরে ‘আজও তোমার আশায় বেঁচে আছি ‘ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
আবার, গোলাম সরোয়ার সলোক ও দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক ‘নাসির উদ্দিনের সুরে ‘ দু’দিনের খেলা ঘরে খেলতে গিয়ে ‘ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং শ্রোতা হৃদয়ে স্থান করে নেয়।
জাহিদ মোহাম্মাদ ‘ তার সংগীত ভাবনা প্রসঙ্গে ‘বিডি২৪ ভিউজ কে জানান,
আমার মূল ভাবনা বাংলা আমার ভাষা, আমি বাঙালি। আমার দেশ-বাংলাদেশ। বাংলাদেশ গানের দেশ,সুরের দেশ। আমাদের শিখরে সঙ্গীতের শক্তি সুরের শক্তি। বাংলাদেশে সংগীতের বিশাল ভান্ডার রয়েছে।
জন্মগ্রহনের পর থেকেই আমি ‘রেডিও শুনে শুনে বড় হয়েছি, সেই থেকে সংগীতের সঙ্গে প্রেম, ভালোবাসা ও চর্চা,
রেডিওতে শোনা সেই সব আধুনিক, লোক গান আজ হারিয়ে যাচ্ছে কালের বিবর্তণে। আর বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে যার যোগসূত্র নামে মাত্র। কোনও সংরক্ষণের উপায় নেই। বাংলা লোক সঙ্গীতের মধ্যে লালন, বাউল, হাছনরাজা, ভান্ডারী, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, ধামাইল, গজল, পুঁথি, গম্ভীরা, জারী, সারি, কীর্তন, কবিগান, যাত্রাপালা, শ্যামা সঙ্গীতসহ এসবেরর প্রতি ভালোবাসা সেই ছোটবেলা থেকেই।
আর আমার মৌলিক প্রতিটি গান আমি একটু সময় নিয়ে করার চেষ্টা করি। যাতে আমার কাজটি নিখুঁত হয়। সেই সঙ্গে শ্রোতারাও পরিপূর্ণ বিনোদন পান, যা নতুন প্রজন্মকে আকর্ষণ করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
সংগীতের এই ক্রান্তিকালে নিজের সংগীত সাধনা , দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও অধ্যাবসাইয়ের ম্যাধমে নিজেকে যেন একজন কন্ঠশিল্পী হিসেবে সবার মনে স্থান করে নিতে পারি, আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে নিয়ে যেতে পারি।
বিডি নিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমেরর পক্ষ থেকে সৃজনশীল ও দক্ষ কন্ঠশিল্পী ‘জাহিদ মোহাম্মাদ ‘ এর জন্য থাকলো অনেক অনেক শুভকামনা।
— জাহিদ হাসান নিশান।