বিডি২৪ভিউজ বিনোদন ডেস্ক : পুরস্কার যেকোনো ভাবেই হোক না কেন তা মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে। কারণ স্বাভাবিকভাবে কাজের স্বীকৃতি পেলে মানুষ আনন্দিত হয়। এই পুরস্কার আরও কাজে উদ্বুদ্ধ করে। আর না পেলে মন খারাপ হয়। পুরস্কার নিয়ে বহু আলোচনা-সমালোচনা হয়। বিশেষ করে আজ পুরস্কার শব্দটি বেশি সমালোচিত। এর দোষ পুরস্কারের নয় যারা পুরস্কার দেয় তার। কার পাওয়া উচিত এবং কেন পাওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা হয়। সবার দৃষ্টিভঙ্গি যে সমান হবে তা নয় তবে পক্ষপাতিত্বমূলকভাবে কাউকে বঞ্চিত করে কাউকে প্রদান করা হলে তা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হবেই। আবার টাকা-পয়সা থাকলে দু-একটা সম্মাননা জুটে যায়- একথাও প্রচলিত।
পুরস্কারকে যারা ব্যবসার মানদণ্ডে নামিয়ে এনেছে তাদের জন্য মেধার মূল্যায়নের এই দুর্দশা।পুরস্কার শব্দটি মানুষের কাজের স্বীকৃতি এবং দক্ষতার মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এমন মানুষও আছেন যারা পুরস্কারের জন্য কাজ করেন না। এসব মানুষের সংখ্যা বেশি নয়। হাতে গোনা। তারা কাজ করেন নীরবে, নিভৃতে তাঁদের মধ্যে সুরকার গীতিকার ও সংগীত শিল্পী ‘বিজয় সরকার অন্যতম। দেশের খ্যাতিনামা এই সংগীত শিল্পী সুরকার ও গীতিকারের দেশের ২য় বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক প্রদানের দাবী জানিয়েছেন তাঁর গানের হাজারো ভক্তবৃন্দ।
বিজয় সরকারের রচনাশৈলী সুর ও গায়কী যাবতীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গেই বিজয় সরকারের সংগীত হয়ে উঠেছে স্বতোৎসারিত প্রবাহের মত৷ অমৃতেনর প্রবাহ বললে খুব ভুল হবে না৷ তাঁর সৃষ্টির এই বিশেষ দিকটিতে ধরা পড়েছে তাঁর প্রতিটা গানগুলোর ভিতরেই।
হোক তা প্রণয়,বিরহ, ভালোবাসা থেকে প্রকৃতি কিংবা স্বদেশ চেতনা থেকে বৈরাগ্য অথবা পূজা থেকে রসবোধ৷ জীবনযাপনের সব শাখাতেই, মানব মনের সব অনুভূতি নিয়েই সংগীত রচনা সুর ও গায়কীর ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছেন মানুষকে অপরূপ সুরের আর বাণীর স্রোতে৷ এমন মহৎ সংগীতজ্ঞকে বাংলাদেশের জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানে ভূষিত করা হবে বলে আশাবাদী বিডি টোয়েন্টিফোর ভিউজ ডটকম।
— জাহিদ হাসান নিশান।