চিত্রনায়িকা ও মডেল সুস্মী রহমান । সাখাওয়াৎ হোসেন পরিচালিত আসমানী ছবির নায়িকা সুস্মী রহমান । আসমানী ছবির পর তিনি অনেক দিন নীরব ছিলেন। এখন আবার নতুন দুটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তার জন্য রইল শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও শুভকামনা। চলচ্চিত্রে সুযোগ পান খুব সহজেই। কোনো নাটকীয় ঘটনা নেই। “পল্লীকবি জসীমউদদীনের ‘আসমানী’ কবিতার ছায়া অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন পরিচালক এম সাখাওয়াৎ হোসেন, তিনি সু্স্মীর পূর্বপরিচিত। তাঁর ‘চন্দ্রনদীর বাঁকে’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। সুস্মীকে জানালেন, তিনি ছবি বানাতে যাচ্ছেন, গল্পও বললেন। তবে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে প্রস্তাব দেন। তারপর পথচলা।
ছোটবেলায় গাইতেন। ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের তালিকাভুক্ত শিশুশিল্পী। বাবা জাহাজের চাকুরে, ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশে। মায়ের হাত ধরেই টেলিভিশন সেন্টারে যেতেন। একটু বড় হওয়ার পর যোগ দিলেন র্যাম্পে, সেটাও চট্টগ্রামে। ঢাকায় আসেন ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর। স্নাতকে ভর্তি হলেন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে, পাশাপাশি চলল র্যাম্পে হাঁটা। ঢাকায় আসার এক বছরের মাথায় বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হওয়ার সুযোগ পান—‘হুন্দাই এয়ার কন্ডিশন’। তবে আলোচনায় এলেন গ্রামীণফোনের পরপর তিনটা বিজ্ঞাপনচিত্র করে। মডেলিংয়ে নাম করার পর ডাক পেলেন টিভি নাটকে।
চলচ্চিত্র নিয়ে সুদূরপ্রসারী কোনো ভাবনা নেই। ধীরে চলো নীতিতে বিশ্বাসী। সুস্মির মা গৃহিণী। তিন বোন, এক ভাই। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। ছোট বোন পড়ছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। একমাত্র ভাই পড়েছেন কম্পিউটার সায়েন্সে। পরিবারের এমনকি আত্মীয়স্বজনের মধ্যে আর কেউই শোবিজের সঙ্গে জড়িত নন। কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবেও অভিষেক হয়েছে আসমানী ছবিতে সুস্মির।