বিনোদন প্রতিবেদক, জাহিদ হাসান নিশান : বিজয় সরকার, ঈশ্বর ভক্তি ও মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অসংখ্য গান রচনা করেছেন, যাঁর গানের মর্মার্থ অত্যন্ত গভীর। আধ্যাত্ম কিংবা সংগীত সাধন তাঁর সংগীতের মুল উৎস। তাঁর বহু গানে স্রস্টার প্রতি ভক্তি ও মানবপ্রেমের বানী লক্ষণীয়। সম্প্রতি তিনি প্রকাশ করেছেন রাধাকৃষ্ণের অপ্রচলিত একটি গান।
“রাই জাগো গো’‘ শিরোনামের এই গানটি প্রভাতী কির্তন পর্বের। শত বছরের ঐতিয্য বহন করে। রাঢ় বাংলার মাটি পথে, রাঙা ধূলোয় খঞ্জনি বাজিয়ে কীর্তন গাওয়া, এ-মাটির অতি প্রাচীন এক সংস্কৃতি। কার্তিকের শুরুর দিন থেকে সংক্রান্তি পর্যন্ত নগরের পথে পথে এগান আজও গাওয়া বাংলা সংস্কৃতির শত বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। যা আজ প্রায় বিলুপ্তির মুখে দাড়িয়ে৷
এমনি সব ঐতিহাসিক লোক সংগীতকে এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত সাধক এই বিজয় সরকার৷ যিনি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কোটি শ্রোতার মনে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন গান দিয়ে৷
বিজয় সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান,’বর্তমান বাংলাদেশে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বাউল গানই সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ প্রায় সব বয়সের শ্রোতাই সবটা না বুঝলেও এ গান শুনে আন্দোলিত ও আপ্লুত হয়৷ অন্যদিকে বাউলসাধক ও গীত রচয়িতার সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে৷ এ গানের সাধনতত্ত্বের কথা জেনে-বুঝে, নিজের জীবনাচারে তা মেনে, পালন করে এখনকার শিল্পীরা এ গান করেন না৷ সুতরাং এখনকার বাউল শিল্পীর কন্ঠে ভক্তের আকুল আবেদন-নিবেদনের কোথায় যেন খানিকটা খামতি থেকে যাচ্ছে৷ বাউল তো মূলত আখড়ার গান- যেখানে গুরু গানের তত্ত্বকথার ভেতর দিয়ে তাঁর শিষ্যদেরকে সাধন-ভজনের ক্রিয়া-করণ বুঝিয়ে দেন৷ কখনোবা সাধক তাঁর একানত্ম আপন প্রার্থনা বা আত্মনিবেদনে নিমগ্ন হন গানের অতলস্পর্শী সুরের আমেজে।
রাই জাগো গো গানটি বাংলা লোক সংগীতের এক রত্নভাণ্ডার, যা বাংলার শত বছরের ঐতিহ্য ধারন করে৷ গানটি প্রকাশ পেয়েছে বিজয় সরকারের নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ” বিজয় সরকার সুনামগঞ্জ”এ৷