১৬০তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি । রবীন্দ্রমানসে ‘বীর’। মোহীত উল আলম

রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার ওপর নির্ভর করে তাঁর বীর সম্পর্কে ধারণার অবতারণা করব। কবিতাটির নাম “কর্ণকুন্তী সংবাদ”। কবিতার কাহিনীটি হচ্ছে এরকম: কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সায়াহ্নে জাহ্নবী নদীর তীরে মাতা কুন্তী এবং পুত্র কর্ণের মধ্যে একটি জরুরী বিষয় নিয়ে আলাপ চলছে। কৌরবদের পক্ষে লড়াইয়ে অবতীর্ণ তাদের প্রধান বীর কর্ণ। আর পান্ডবদের পক্ষে পঞ্চপান্ডব ভাতৃগণ: যথাক্রমে যুধিষ্টির, ভীম, অর্জুন, নকুল আর সহদেব। ঘটনাটা হলো, কর্ণ না জানলেও সে ছিল কুন্তীর বরপুত্র। কিন্তু তার জন্ম হওয়া মাত্রই কুন্তীর তাকে ছেড়ে দিতে হয়, কারণ কুন্তী তখনও ছিলেন কুমারী। এ ঘটনার পর কুন্তীর বিয়ে হয় হস্তিনানগরের রাজা পান্ডুর সঙ্গে, যেখানে তাঁর গর্ভে অর্জুনেরা পর পর তিন ভাই জন্মগ্রহণ করে–যুধিষ্টির, ভীম ও অর্জুন। নকুল আর সহদেব ছিল পান্ডুর দ্বিতীয় স্ত্রী মাদ্রীর ঘরের। কুন্তী ভবিষ্যৎ পড়ে জানতে পারেন যে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরববাহিনীর পরাজয় হবে, এবং অর্জুনের হাতেই মারা পড়বে কর্ণ। তাই মা হিসেবে তিনি দোটানায় পড়েন, এবং সমস্ত ঘটনা বিস্তারিত বলে তিনি নিজেকে কর্ণের কাছে তার মা হিসেবে তুলে ধরেন, যাতে কর্ণ নিজেকে যুদ্ধ থেকে সরিয়ে নেয় এবং ভাইদের সঙ্গে মিলে যায়। মহাভারত-এর একটি উপাখ্যান থেকে নেওয়া এই কথোপকথনটিই রবীন্দ্রনাথ কাব্যে প্রকাশ করেছেন।

আর আমাদের আলোচনার সূত্রপাত এখান থেকে হচ্ছে যে কুন্তীর এই অনুরোধ কর্ণ কিন্তু রাখল না, সে বলল যে নিজ পক্ষ ত্যাগ করা হচ্ছে বীরের সদ্গতি থেকে ভ্রষ্ট হওয়া: “মাত:, করিয়ো না ভয়। / যে পক্ষের পরাজয় / সে পক্ষ ত্যজিতে মোরে কোরো না আহ্বান। / শুধু এই আর্শীবাদ দিয়ে যাও মোরে, / জয়লোভে যশোলোভে রাজ্যলোভে, অয়ি, / বীরের সদগতি হতে ভ্রষ্ট নাহি হই।”

কুন্তীর আবেদন ছিল তাঁর ঔরষজাত সন্তান তাঁকে ফিরিয়ে দেবে না। অথচ কর্ণ বলছে, আমি যদি তোমার সন্তান হই তবে কেন একদিন “কুলশীলমানহীন, মাতৃনেতৃহীন / অন্ধ এ অজ্ঞাত বিশ্বে” আমাকে পরিত্যাজ্য করেছিলে তুমি? আর যে ছেলে “ফিরালো মাতৃস্নেহপাশ” তাকে তুমি সিংহাসনের লোভ দেখাচ্ছো! আমি যদি আমার এই এখনকার কুরুপতিকে ছেড়ে যাই, “ধাই যদি রাজসিংহাসনে–/ তবে ধিক মোরে।”
রবীন্দ্রনাথ নিজের অজান্তেই হয়তো কর্ণকুন্তীর বিসংবাদের মাধ্যমে বড় একটা প্রশ্ন আমাদের জন্য রেখে গেছেন। মানুষ যখন মাতৃভূমি এবং নিজের কোন একটি স্বার্থের মধ্যে দ্বন্দ্বে পড়বে, তখন সে কোনটা বাছাই করবে? ধরি, বাছাইটা হচ্ছে, একদিকে তার মা (মা বলতে তার সমস্তরকমের নিজস্ব সম্পর্ক ও বৈষয়িক স্বার্থ) আর অন্যদিকে তার দেশ (দেশ বলতে স্বদেশ, মাতৃভূমি, মানবতা, মানবসেবা ইত্যাদি)—এই সংঘাত যখন কর্ণের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ রূপ নেয়, তখন কর্ণ বীর বলে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারলেও আমরা সাধারণ মানুষরা কী করব? মনে আছে, শহীদ জননী জাহানারা ঈমামের ছেলে শহীদ রুমী মা’কে অনেকটাই কর্ণের মতোই জবাব দিয়েছিলেন, এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথের একটি বিখ্যাত গীতিনাট্য “শ্যামা”—সেখানেও দেখছি একটি চূড়ান্ত অসমাধানযোগ্য সিদ্ধান্তকে কাহিনীর মূল ঘটক হিসেবে চাড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ দেখাচ্ছেন কী করে শ্যামা বিদেশী বণিক বজ্রেশ্বরের প্রেমে কাতর হয়ে তার প্রেমপুজারী উত্তীয়কে চুরির দন্ড কাঁধে নিয়ে শূলে চড়াতে প্ররোচিত করে। শ্যামার এই অসম্ভব প্রস্তাবকে শুধুমাত্র শ্যামার প্রতি তার প্রেমের স্বীকৃতি স্বরূপ উত্তীয় নির্বিবাদে অপরের দন্ডভার তার কাঁধে নিয়েছিল, বলেছিল, রবীন্দ্রনাথের অপরূপ ভাষায়: “ন্যায় অন্যায় জানি নে, জানি নে, জানি নে– / শুধু তোমারে জানি, তোমারে জানি / ওগো সুন্দরী। / চাও কি প্রেমের চরম মূল্য – দেব আনি, / দেব আনি ওগো সুন্দরী।”
উত্তীয় প্রেমের বলী হলো, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ দ্বিতীয় প্রশ্নটা তুললেন: এই যে শ্যামা একজনের বিকল্পে আরেকজনের প্রাণহানি ঘটিয়ে তাঁর প্রেমের স্বার্থকে ভাসিয়ে রাখল, সেটি কতটুকু নৈতিক? চরম ধাক্কাটা এলো বজ্রেশ্বরের নিকট থেকে। পুরো ঘটনাটি জানতে পেরে—শ্যামার প্রতি অগাধ অনুরাগে নিমজ্জিত থাকলেও—বজ্রেশ্বর পাপিষ্ঠা হিসেবে গণ্য করে শ্যামাকে ত্যাগ করল। বলল, বিধাতা তার শ্যামাকে ক্ষমা করতে না পারার জন্য শাস্তি দিলেও শ্যামাকে যেন ক্ষমা করেন: “জানি গো তুমি ক্ষমিবে তারে / যে অভাগিনী পাপের ভারে চরণে তব বিনতা। / ক্ষমিবে না, ক্ষমিবে না / আমার ক্ষমাহীনতা পাপীজনশরণ প্রভু।”

তা হলে, “কর্ণকুন্তী সংবাদ” কবিতাটি আর “শ্যামা” গীতিনাট্যের মধ্যে সমান্তরাল করলে দেখতে পাই কুন্তী আর শ্যামা প্রায়ই একই ধরনের চরিত্রে অবতীর্ণ হয়েছে, এবং অন্যদিকে কর্ণ এবং বজ্রেশ্বরের চরিত্রের মধ্যেও মিল আছে। কুন্তী এবং শ্যামা দু’জনেই নৈতিকতার প্রশ্নটি খাটো করে দেখেছেন নিজস্ব একটি আবেগকে প্রশ্রয় দেবার জন্য। দু’জনেই নারী, একজন মা এবং একজন প্রেমিকা—এবং তাঁরা দু’জনেই যথাক্রমে পুত্র এবং প্রেমিকের মন জয় করতে যেয়ে ব্যর্থ হয় প্রধানত পুরুষ দু’জনের নৈতিকতার অবস্থানে দৃঢ় থাকার জন্য—কর্ণ নিজের দলের প্রতি একনিষ্ঠ থেকে মায়ের অনুরোধ ফিরিয়ে দেয়, আর বজ্রেশ্বর নিজের প্রেমিকাকে মনুষ্যহন্তার দায়ে ক্ষমা করতে পারল না। অর্থাৎ, রবীন্দ্রনাথের ধারণায় বীরের চরিত্র হচ্ছে, সাধারণভাবে আমরা যা বুঝি তাই—সে নৈতিক অবস্থানে দৃঢ় থাকলে তার বীরোচিত চারিত্রের প্রকাশ হবে।

কিন্তু এতটুকু বলে আমাদের থামতে হবে। কারণ, রবীন্দ্রনাথের বীরের ধারণা বলতে আমরা ওপরে যে সংজ্ঞাটুকু তৈরি করেছি অনেকটা যৌক্তিকভাবে, সে যুক্তিটাই দেখি খন্ডিত হচ্ছে দু’টো কাব্যেরেই প্রকাশরীতির ধরনে। “কর্ণকুন্তী সংবাদ”-এ কর্ণ এবং কুন্তীর উক্ত চরণ প্রায় সমান সমান, অন্যদিকে “শ্যামা” কাব্যনাট্যের প্রধান চরিত্রের নামই শ্যামা। তা হলে দেখা যাচ্ছে, আমরা ওপরে অনেকটা যে সরলরেখায় রবীন্দ্রনাথের বীরত্বের ধারণাকে তুলে ধরেছি, কাব্যদু’টির প্রেক্ষাপটে সে ধারণাটি আরেকটু জটিল। এবং এ জটিলতাটুকু পরিষ্কার হলেই কাব্যদু’টির রস আস্বাদনও পরিপূর্ণতা পায়।

কুন্তীর মিশনের লক্ষ্য কী? তিনি মা হিসেবে নিজের পুত্রের প্রাণ বাঁচাতে চান। এই চাওয়ার মধ্যে মাতৃ আকূলতার সার্বভৌম আবেগ ছাড়া আর কিছু নেই—এবং এর বিপক্ষে কুরুপতি কর্ণের পরাজয়ের ভয়ে নিজ পক্ষ ছাড়ার যুক্তিটি, রবীন্দ্রনাথ বোঝাতে চান, খানিকটা ফরমায়েশী মনে হয়, মনে হয় যেন স্তোত্রবাক্য। কর্ণ জিজ্ঞেস করছে, “কোথা লবে মোরে!” কুন্তী বলছেন, “তৃষিত বক্ষের মাঝে, লব মাতৃক্রোড়ে।” তারপর বলছেন, “পুত্র মোর ওরে, / বিধাতার অধিকার লয়ে এই ক্রোড়ে / এসেছিলি একদিন। সেই অধিকারে / আয় ফিরে সগৌরবে, আয় নির্বিচারে, / সকল ভ্রাতার মাঝে মাতৃ-অঙ্গে মম / লহো আপনার স্থান।”

কুন্তীর কর্ণের কাছে ভিক্ষা চাওয়ার মাতৃসবর্স্ব আবেগকে প্রাধান্য দেবার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি যুক্তি জায়গা পায়, আর সেটি হলো, পুত্রের প্রাণ চলে যাবে জেনে তার প্রাণ রক্ষার্থে মাতা যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন, সেটি যেমন বিশ্বজনীন স্বীকৃত একটি যুক্তি, তেমনি পুত্রের সামরিক-ধারণা প্রবিষ্ট যোদ্ধা মনের মধ্যে জননীর এই ভিক্ষার প্রশ্নটি যে জায়গা করতে পারল না সেটির কারণেই রবীন্দ্রনাথ যেন বলতে চান যে কর্ণের বীরত্বসূচক সংজ্ঞার মধ্যে খামতি আছে। যদি এরকমও বলি, বোধহয় বেশি বলা হবে না যে কর্ণ যোদ্ধা বীর, কিন্তু মানবিক বীর নয়। বা আরো টেনে বলতে পারি, সে তার ধী-শক্তির ব্যবহার করল না বলেই কুন্তীকে ফিরিয়ে দিতে পারল।
রবীন্দ্রনাথ এই কথাটি ষ্পষ্ট করেন নি, কিন্তু ইঙ্গিতটা সেরকমেরই: “ত্যাগ করেছিনু তোরে, / সেই অভিশাপে পঞ্চপুত্র বক্ষে ক’রে / তবু মোর চিত্ত পুত্রহীন; তবু হায়, / তোরই লাগি বিশ্ব-মাঝে বাহু মোর ধায়, / খুঁজিয়া বেড়ায় তোরে।”

বস্তুত মাতৃত্বের এই দাবি কর্ণের হৃদয়কে শেষ পর্যন্ত বিদারিত করতে না পারলেও, কবিতার মেজাজে মায়ের আবেগটিই যেন মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়ে গেল। অর্থাৎ, কর্ণের বীরত্ব শুধু একমাত্রিক যোদ্ধা রূপ থেকে আরো সংবেদনশীল হতে পারত যদি সে মাতৃস্নেহের দাবির পেছনে আরো বিস্তৃত সত্যটুকু দেখতে পেতো যে সে যদি মায়ের কথামতো ভাইয়ে-ভাইয়ে যুদ্ধ নয় এই কথাটি উপলব্ধি করতো, তা হলে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হয়তো হতোই না, বরঞ্চ রূপ পেতো অকূল শান্তির পারাবার। কুন্তীর মাতৃদাবির পেছনে যে অপার শান্তির বারতা ছিল, সেটি কর্ণ উপলব্ধি করতে পারেনি। দ্বিতীয় আরেকটি ছোট কারণেও কর্ণের বীরত্বের ধারণাটুকুকে আমরা পুরোটাই যুদ্ধনীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলছি। কর্ণ বলছে সে যে এতদিন কুলহীন, মানহীন ছিল সেটা বদলে সে পান্ডবদের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে তার ঘৃণা হবে: “মাত:, সূতপুত্র আমি, রাধা মোর মাতা, / তার চেয়ে নাহি মোর অধিক গৌরব । / পান্ডব পান্ডব থাক্, কৌরব, কৌরব। / ঈর্ষা নাহি করি কারে।” কিন্তু বংশ পরিচয় যুদ্ধের পটভূমিতে প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য না হলেও শান্তির সময়ে সমাজে বংশ পরিচয়, বিশেষ করে রাজাধিরাজের সমাজে বিশাল একটি বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ, আমার কাছে প্রতীয়মাণ হয় যে কর্ণকে বীর যোদ্ধা হিসেবে চরিত্রায়িত করলেও রবীন্দ্রনাথ মাতা কুন্তীর পুত্র-স্নেহ, পুত্রকে রক্ষার্থে এবং ফলশ্রুতিতে যুদ্ধকে শান্তির মধ্যে নিষ্পন্ন করার প্রচেষ্টাও কাব্যের রচিত বয়ানে যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী।

ঠিক একই কারণে বজ্রসেন শ্যামাকে নরহন্তার জন্য দায়ী করে পাপিষ্ঠা ডেকে তাকে ত্যাগ করলেও (“কাঁদিতে হবে রে, রে পাপিষ্ঠা, জীবনে পাবি না শান্তি। . . . / এ জন্মের লাগি / তোর পাপমূল্যে কেনা মহাপাপভাগী / এ জীবন করিলি ধিক্কৃত! / কলঙ্কিনী, ধিক নিশ্বাস মোর তোর কাছে ঋণী / কলঙ্কিনী।”), আমাদের মনে বাজে শ্যামার অবোধ কিন্তু সর্বগ্রাসী প্রেম, যে প্রেমের সামনে কিংবা যে প্রেমকে পেতে গেলে তার বিপরীতে যে মানুষের জীবনই একমাত্র উপলক্ষ্য সেই মানুষটিকে বিসর্জন দিয়ে প্রেম প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টার মধ্যে প্রেমের মর্যাদাকে বীরোচিত অবস্থানে কি নিয়ে যাওয়া হয় নি? উত্তীয় তার (শ্যামার) সেই প্রেম ধারণার যূপকাষ্ঠে নিজেকে উৎসর্গ করল। বজ্রসেন শ্যামাকে পরিত্যাগ করার সাথে সাথে উত্তীয়ের প্রেম-মাহাত্ম্যকেও উপলব্ধি করতে পারল না। কর্ণের মতোই বজ্রসেন কেবল একটি নৈতিক অবস্থানের কারণে শ্যামাকে ত্যাগ করল। কর্ণ যেমন শুধু যোদ্ধারূপী একটি খন্ডিত পরিচয়ের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখল, তেমনি বজ্রসেনও ধর্মযাজকের মতো আচরণ করে নিজেকে নৈতিকতার পরাকাষ্ঠা বানিয়ে শ্যামার মতো জলজ্যান্ত প্রেয়সীকে দূরে ঠেলে দিতে পারল।

কর্ণ এবং বজ্রসেন—দু’জনেই পুরো নৈতিকতার বেড়িতে তাদের নিজ নিজ আচরণ সীমায়িত করে ফেললেও মানবতার দিক থেকে অনেকটুকু তারা পূরণ করতে পারল না, সে জন্য এ সিদ্ধান্তে আমরা আসতে পারি যে কর্ণ বা বজ্রসেন কেউই রবীন্দ্রনাথের বীরমানসের প্রতীক নয়। কর্ণের সঙ্গে কুন্তীর অবস্থানের সংযোজন হলে, কিংবা বজ্রসেনের সঙ্গে শ্যামার প্রেক্ষাপট সংযোজিত হলে, বীরের ধারণাটি জটিল হলেও পরিপূর্ণতা পেত। অর্থাৎ, শুধু নৈতিকতা-নির্ভর বীর সংজ্ঞার মধ্য যে অপরিপূর্ণতা থাকে, থাকে খানিকটা মানবিকতা হীনতাও, তার কথাই আসলে রবীন্দ্রনাথ কাব্য দু’টিতে বলেছেন।

=শেষ=

৭ মে ২০২১

১৬০তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীমোহীত উল আলমরবীন্দ্রনাথ
Comments (0)
Add Comment