বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুইজনেই বিশ্বমানবতা এবং বিশ্ব শান্তির জন্য নিবেদিত প্রাণ। গভীর অধ্যাত্মবিশ্বাসী এই দুই মহাপুরুষের চিন্তাভাবনা ও কর্মকান্ডে বাংলা ভাষা এবং বাঙালির প্রতি ছিল অপরিসীম প্রেম। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুজনেই বাংলা এবং বাঙালিকে বিশ্বের দরবারে সুমহান মর্যাদায় হাজির করেছেন, একজন সাহিত্য দিয়ে অন্যজন রাজনীতি দিয়ে। ‘বাঙালি’ বলে যে জাতির কথা রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু সেই জাতিকেই আবিষ্কার করেন ‘সোনার বাংলায়’। যে বাংলাকে ভালোবেসে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, ‘ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি,’ আর বঙ্গবন্ধু সেটিকে ভালোবেসে ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি তারিখে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় সংগীতে রূপ দিলেন।
বাঙালি জাতিকে আত্মশক্তিতে বলীয়ান করে তোলার ক্ষেত্রে কবিগুরু ও বঙ্গবন্ধু দুজনেরই দৃষ্টিভঙ্গিও সমধর্মিতা বিশেষভাবে লক্ষ্য করার মত। সমাজকে পুর্নজাগ্রত , পুর্নসংগঠিত এবং বাঙালি সমাজের ওপর নির্ভর করে জাতীয় জীবনের সর্বাঙ্গীন বিকাশের কথা দুজনেই ব্যক্ত করেছেন। জনসাধারণের শিক্ষা ও গ্রামের প্রতি আকর্ষণ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারা ও কর্মপ্রণালীর মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে কবিগুরু যখন শিলাইদহ থেকে পতিসরে যান, তখন সেখানে ‘পল্লী উন্নতির বিরাট পরিকল্পনা’ রূপায়িত করার চেষ্টা করেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর স্বদেশী সমাজ গঠনের প্রারম্ভেই এদেশের কৃষক-জীবনে সমবায়ের মাধ্যমে পরিত্রাণের প্রয়োজনীয়তার পথ উপলদ্ধি করেন। তাঁর নানা প্রবন্ধে ও পত্রাদিতে এ বিষয়ে উল্লেখ আছে। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘‘… দেশের সমস্ত গ্রামকে নিজের সর্বপ্রকার প্রয়োজন সাধনক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য কতকগুলি পল্লী নিয়ে এক-একটি মন্ডলী স্থাপন করা দরকার, সেই মন্ডলীর প্রধানগণ যদি গ্রামের সমস্ত কর্মের ও অভাবমোচনের ব্যবস্থা করে মন্ডলীকে নিজের মধ্যে পর্যাপ্ত করে তুলতে পারে তবেই
স্বায়ত্তশাসনের চর্চা দেশের সর্বত্র সত্য হয়ে উঠবে। নিজের পাঠশালা, শিল্পশিক্ষালয়, ধর্মগোলা, সমবেত পণ্য ভান্ডার ও ব্যাঙ্ক স্থাপনের জন্য পল্লীবাসীদের শিক্ষা সাহায্য ও উৎসাহ দান করতে হবে। এমনি করে দেশের পল্লীগুলি আত্মনির্ভরশীল ও ব্যূহবদ্ধ হয়ে উঠলেই আমরা রক্ষা পাব। কিভাবে বিশিষ্ট পল্লী সমাজ গড়ে তুলতে হবে, এই হচ্ছে আমাদের প্রধান সমস্যা। (রবীন্দ্ররচনাসমগ্র, প্রবন্ধ, সমবায়নীতি) অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধুর একই ধরণের মতামত প্রতিফলিত হতে দেখি। তিনি বলেছেন, ‘‘ … সুজলা, সুফলা বাংলাদেশ সম্পদে ভর্তি। এমন উর্বর জমি দুনিয়ায় খুব অল্প দেশেই আছে। তবুও এরা গরিব। কারণ, যুগ যুগ ধরে এরা শোষিত হয়েছে নিজের দোষে। নিজকে এরা চেনে না, আর যতদিন চিনবে না এবং বুঝবে না ততদিন এদের মুক্তি আসবে না।’’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃ. ৪৮)
বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের অগ্রসেনানী জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে কবিগুরুর প্রভাব ছিল অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সুখ দুঃখের সাথী রবীন্দ্রনাথ। যতবার জেলে গেছেন ততবারই বঙ্গবন্ধুর সাথে থাকত সঞ্চয়িতা। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বলেছেন, ‘‘প্রতিবারই জেলে যাবার সময় বঙ্গবন্ধু সঞ্চয়িতাটা হাতে তুলে নিতেন। কারাগারের নিঃসঙ্গতায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের একমাত্র সঙ্গ ছিল সঞ্চয়িতা। বইটির গায়ে পড়েছিল জেলের সেন্সরের অনেকগুলো সিল। অনেক যত্নে রাখা সত্বেও সঞ্চয়িতার কপিটা বহু ব্যবহারে পুরাতন হয়ে গিয়েছিল।’’ বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত জীবনেও রবীন্দ্রনাথ যে কতদুর প্রভাব বিসত্মার করেছিল, তা ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে না। বেগম মুজিবের মতে, ‘‘কবি গুরুর আসন বঙ্গবন্ধুর অন্তরের অন্তস্থলে। রাজনৈতিক জীবনের উত্থান পতন দুঃখ-দৈন্য সর্ব মুহুর্তে তাঁকে দেখতাম বিশ্বকবির বাণী আবৃত্তি করতে। ‘ বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে যেনো না করি আমি ভয়,’ অথবা ‘ যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে,’ প্রভৃতি অসংখ্য গানের টুকরো তিনি আবৃত্তি করে যেতেন দুঃখ- দৈন্য- হতাশায় ভরা অতীতের সেই দিনগুলোতে।’’ বঙ্গবন্ধুর রবীন্দ্র প্রীতির কথা বলতে গিয়ে ১৯৭২ সালে বেগম মুজিব দৈনিক বাংলার সাংবাদিককে অত্যন্ত আবেগময় ভাষায় বলেন, ‘‘কোন কারণে আমি মনক্ষুন্ন হলে অতীতে বঙ্গবন্ধু আমাকে কবিগুরুর কবিতা শোনাবার প্রতিশ্রুতি দিতেন। আজও শত কাজের চাপে ব্যসত্ম থাকা সত্বেও এতটুকু সময় পেলেই সন্তানদের নিয়ে তিনি কাব্য আলোচনা করেন,- আবৃত্তি শোনান পরিবারের লোকদের।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকীর সময় একবার একজন বিশ্বস্থ লোককে দিয়ে আমি রবীন্দ্র রচনাবলীর পুরো এক সেট কলকাতা থেকে আনিয়েছিলাম। ওর সামনে যখন উপহার হিসাবে বইগুলো উপস্থিত করলাম খুশীর আবেগে তিনি তখন বিহবল হয়ে পড়লেন। উজ্জ্বল চোখ দুটো তুলে একবার শুধু তাকালেন। সে চোখে ছিল শিশুর মত তৃপ্তি আর প্রগাঢ় কৃতজ্ঞতা।’’ বঙ্গবন্ধুর জীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব এতটাই বেশি ছিল, আর তাইতো কথায়, বক্তৃতায় উপমা দিতেন কবিগুরুর রচনাবলী থেকে। এ রকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি তারিখে রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর আহবানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নূতন মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই জনৈক সাংবাদিক যখন বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেন, ‘স্যার, আজকের দিনে জাতির প্রতি আপনার বাণী কি?’ জবাবে চিরাচরিত হাস্যমুখে তিনি বলেন:
‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই ওরে ভয় নাই
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারত সুদৃঢ় ও প্রত্যক্ষ সমর্থন যুগিয়েছে। শরণার্থীদের আশ্রয়দান, প্রবাসী সরকার গঠনে সহায়তা এবং মুক্তিবাহিনীর সংগঠন, সামরিক প্রশিক্ষণ ও সমরাস্ত্র দিয়ে ভারতের ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ। আমাদের সেই দুর্দিনের সাথী ও আশ্রয়দাতা ভারতের মহান জনগণ ও সরকারের আমন্ত্রণে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৬ই ফেব্রম্নয়ারী কোলকাতা সফরে যান। কোলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ভারতের ইতিহাসের বৃহত্তম জনসভায় বঙ্গবন্ধু ভারতবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। কোলকাতার ওই জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ বারবার এসেছে। জনসভার সংবাদ তুলে ধরে ১৯৭২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় আনন্দবাজার পত্রিকাতে সংবাদ শিরোনাম করা হয়, ‘ দুই দেশকে অনুপ্রাণিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ’।
এতে বলা হয়েছিল: ‘‘ ভারত ও বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা আজ রবীন্দ্রনাথ। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে তাই রবীন্দ্রনাথের কথা বার বার এসে পড়েছে।… জনসভায় রবীন্দ্রপ্রেমী শেখ মুজিবরের মুখেও রবীন্দ্রনাথের কবিতা। ভোজসভায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী [ শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী] বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে [ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান] বলেন, ‘ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের দূর দৃষ্টি ও জীবনদর্শন আমাদের উভয়কেই অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর বিরাটত্বের এটাই বড় প্রমাণ যে তিনি আমাদের ও আপনাদের জনগণকে সমানভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
তাঁর একটি ভবিষ্যৎ বাণীতে আপনারা সত্য প্রমাণিত করেছেন, ‘ তোমার দুয়ার আজি খূলে গেছে সোনার মন্দিরে।’ এই মৈত্রী, সহযোগিতা ও নব নব ভাবধারার স্বর্ণদ্ধার যেন অনমত্মকাল ধরে খোলা থাকে।’’ ওই দিনের জনসভাস্থলে সমবেত কন্ঠে শুরুতে গাওয়া হয় ‘বাঁধ ভেঙ্গে দাও’ এবং সবশেষে ‘আমার সোনার বাংলা’ এবং ‘জনগনমন’- কবিগুরুর লেখা দুটি জাতীয় সঙ্গীত, দুই প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের। শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে শুধু কোলকাতা ও ভারতের জনগণের পক্ষ থেকেই নয় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের শিষ্যা হিসাবেও শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী স্বাগত জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধুর সম্মানে কোলকাতায় যে একটিমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল সেটিও রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা। আনন্দবাজার পত্রিকাতে এই অনুষ্ঠানের মনোরম বিবরণ পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছিল,‘‘ …ভোজসভা থেকে অতিথিরা চলে যান রাজভবনের দোতলায় পূর্ব প্রান্তের ঘরে। সেখানে রবিতীর্থের শিল্পীরা চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যটি অভিনয় করেন। এক ঘন্টা অনুষ্ঠান চলে। দুই প্রধানমন্ত্রী মুগ্ধ দৃষ্টিতে বসে অভিনয় দেখেন। অভিনয়ের পর তাঁরা শিল্পীদের সহ ছবি তোলেন। চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যে সঙ্গীতাংশে ছিলেন, শ্রীমতী সূচিত্রা মিত্র ও শ্রী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।’’ শুধু তাই নয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানার্থে দেয়া রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় যে রবীন্দ্র সংগীত বাজানো হয়েছিল তার মধ্যে ছিল ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’, ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি’, ‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু’ ইত্যাদি।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করেন। সেদিন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে রেসকোর্সের ময়দানে লক্ষ লক্ষ জনতার সামনে দাঁড়িয়ে কবি গুরুর সেই বিখ্যাত কবিতার লাইন ‘‘সাত কোটি বাঙালীকে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি’’ বিপরীতে অশ্রুভেজা কন্ঠে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘কবি গুরু তোমার উক্তি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। দেখে যাও তোমার বাঙালী আজ মানুষ হয়েছে’। রবীন্দ্র গবেষকরা মনে করেন এর থেকে বড় শ্রদ্ধার্ঘ কবি গুরুর প্রতি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কের আর কি হতে পারে? বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি যতদিন থাকবে, ততদিন এই দুজন আমাদের আলোর দিশারী হয়ে থাকবেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘‘একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরমত্মর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’’ এক বিশাল পরিপূর্ণ হ্নদয় দিয়ে তিনি মানব কল্যাণের প্রতি গভীর মমত্ববোধ তার জীবনবোধের মধ্যে দিয়ে পরিস্ফুট করে তুলেছেন।
বিশ্বকবির ক্ষেত্রেও তাই। ২০১১ সালে কবির সার্ধশত জন্মবর্ষ পালনের অনুষ্ঠান মালা উদ্বোধনকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমনটি বলেছিলেন, ব্যক্তি ‘‘রবীন্দ্রনাথ শুধু কবি নন, লেখক নন, তিনি বাঙালির ও সমাজ জীবনের উজ্জ্বল বাতিঘর। আমাদের প্রেম ও বিরহ,দ্রোহ ও শান্তিতে রবীন্দ্রনাথ থাকেন হৃদয়ের কাছের মানুষ হয়ে। তাঁর সৃষ্টির ঝর্ণাধারায় আমরা সিক্ত হই প্রতিনিয়ত।’’ বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইলে বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ দুজনেরই জীবনাদর্শ ধারণ করতে হবে। তবেই আমরা এগিয়ে যেতে পারবো সামনের দিকে।
লেখক : সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইতিহাসবিদ ।