বৈশ্বিক পরিবর্তনে অভাবনীয়ভাবে প্রভাব ফেলেছে আপামর জনগনের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্তানের উপর। ধনী ও গরীবের উচু নিচু সকল বৈষম্যকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। অবশ্য এসকল অবস্থনের উপর নতুন করে আর একটি অবস্থান তৈরী করতে চলছে। পুজির স্থানন্তর, পূজির স্থবিরতা দুই-ই পরির্বতন হবে। আর পরিবর্তনকারী অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে কোভিড-১৯, একটি বৈশ্বিক মহামারীর নাম। করোনা পরবর্তীতে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা এখন সময়ের দাবী। এই সময়ের দাবীকে বিবেচনা করে সরকার, দাতা সংগঠনসমূহ, বেসরকারি সংগঠন সমূহ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কৌশল ও কর্মসূচি গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা করছেন। বৈশ্বিক এই মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্য সম্পতি সময়ে একটি উদ্যোগের নাম চাওয়া পাওয়া। সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে তাদের নামের যর্থাততা প্রমানিত।চাওয়া- পাওয়া.কম নামের একটি অনলাইন প্লাটফরম(www.chaowapawa.com)গ্রামীন উদ্যোক্তা উন্নয়নে অবদানের জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করে যাত্রা শুরু করেছে। যা অতীব মহতী উদ্যোগ।
কথা হয়েছিল চাওয়া-পাওয়া ডট কমের অন্যতম উদ্দ্যোগক্তা মুজিবর রহমানের সাথে। তিনি দীর্ঘ কয়েক দশক মাটি ও মনুষের সাথে মিলে তাদের উন্নয়নে কাজ করে চলছেন । তেমনই দীর্ঘ দিনের মাঠে-প্রান্তরে কাজ করে মানুষের হৃদয়ের চাওয়া পাওয়াকে বিবেচনায় রেছে এই সংগঠনরে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চাওয়া পাওয়া.কম -এর একটি অন্যতম লক্ষ্য হলো গ্রামীন ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র গ্রামীণ উদ্যোক্তা -দের ব্যবসা সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে পণ্য বাজারজাতকরনে সহযোগিতা করা। এক্ষেত্রে কুটির শিল্প, হস্তশিল্প, কারুশিল্প ও গ্রামীন আর্টিজান এর সম্প্রসারনের জন্য বদ্ধ পরিকর। চাওয়া পাওয়া.কম সকল ধরনের পণ্য বাজারজাতকরনের পাশাপাশি গ্রামীণ উদ্যোক্তা -দের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার সাথে লিঙ্কেজ এবং নেটওয়ার্কিং করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন এখন বৈশ্বিক যোগাযোগ চলছে। গ্রাম-দেশ পেড়িয়ে এখন বিশ্ব বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে। এবং সেটি গ্রাম থেকে বিশ্ব। মোঃ ফেরকান উদ্দিন অন্যতম উদ্দ্যোক্তা বলেন, করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব পাচ্ছে মানুষের শরীরে ইম্যুনিটি বৃদ্ধি করা। যা মানষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা পুষ্টিকর ও জৈবিক উপায়ে উৎপাদিত খাবার গ্রহণে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকরে যা করোনাকে জয় করার অন্যতম হাতিয়ার। চাওয়া পাওয়া.কম জৈবিক (অর্গানিক) পণ্য বিক্রয়ে একদল নারী উদ্যোক্তার সমাবেশ ঘটানোর জন্য কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।
সারাদেশে অঞ্চলভিত্তিক হাব এর মাধ্যমে পণ্যনির্বাচন করে তা চাওয়া পাওয়া.কম–এর ওয়েবসাইটে ক্রেতাদের জন্য স্থাপন করা হবে এবং বর্তমানে ঢাকায় এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সম্পসারিত করা হবে। যা একাধারে গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি ভোক্তাদের জন্য পুষ্টিকর ও জৈবিক উপায়ে উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করবে। চাওয়া পাওয়া.কম সঠিকভাবে বাজারজাতকরনের মাধ্যমে করোনা পরবর্তীতে অর্থনৈতিক মন্দা উত্তোরনে অবদান রাখতে বদ্ধ পরিকর। জীবনের জন্য জীবিকা, আর জীবিকার জন্য বাজারজাতকরন !! চাওয়া পাওয়া.কম, কেনাকাটা যখন তখন। সাথে সাথে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন সকলকে একযোগে করোনা বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক বিপর্যয়কে সরলীকরণ করে সমন্বিত উদ্যোগই মানুষের দৈনন্দিন চাওয়া পাওয়াকে পূরন করতে পারে।
লেখক : সাংবাদিক