বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাসমূহের মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা অন্যতম। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশ শেষ হওয়ার মুহূর্তে চালানো পৈশাচিক গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আহত হয়েছিলেন শতাধিক।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে ভয়াবহ এক নজিরবিহীন ঘটনায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যা করার এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের সৃষ্টি করা হয়েছিল।
১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন অনেকটা নিজের জীবন বাজি রেখে। দেশে ফেরার পর আবার বঙ্গবন্ধুর অন্যতম উত্তরাধিকার শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়। অপেক্ষা সুযোগের। তিনি আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের পর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ও তাঁকে একাধিকবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভুললে চলবে না, জিয়া আর এরশাদের মধ্যে মতাদর্শের দিক থেকে তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। শেখ হাসিনাকে প্রথম গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয় চট্টগ্রামে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। সেদিন শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন এরশাদবিরোধী একটি সমাবেশে বক্তব্য দিতে। শেখ হাসিনা যাতে লালদীঘি ময়দানের কোনো জনসভায় অংশ নিতে না পারেন সে জন্য সকাল থেকেই চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধান মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে অনুষ্ঠানস্থল দখলে নিয়েছিল পুলিশ। এই মির্জা রকিবুল হুদা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ বাহিনীতে একজন মেজর হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং যশোর সেক্টরে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে হুদা যুদ্ধবন্দি হিসেবে ফেরত যান। পরে বঙ্গবন্ধুর বদান্যে তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। জিয়া এই রকম ১৭ জন পাকিস্তানফেরত সেনা অফিসারকে পুলিশে আত্তীকরণ করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করার সময় পুলিশের আইজিপি ছিলেন মো. শহুদুল হুদা। তিনিও পাকিস্তান ফেরত সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি পাকিস্তানের ট্যাংক রেজিমেন্টের একজন মেজর হিসেবে মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল সুপরিকল্পিত, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সম্মতিতে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে তৈরি করেছিলেন। মূল পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন খালেদা জিয়ার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের নেতা ও খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, খালেদা জিয়ার সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম মিন্টু ও মাওলানা তাজউদ্দিন, তৎকালীন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন প্রধান আবদুর রহমান। তাঁরা ব্যবহার করেছিলেন মৌলবাদী সন্ত্রাসী দল আল-মারকাজুল ইসলাম আল হুজিকে।
এ ছাড়া এই হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিএনপি ও জামায়াতের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সার্বিকভাবে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাঁরা ঘটনা বাস্ত—বায়ন করা এবং তাদের পালিয়ে যাওয়া জন্য সর্বাত্মক সাহায্য করেন। মোটামুটি শেখ হাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত দলটি বেশ বড় এবং তাদের লক্ষ্যের ব্যাপারে অভিন্ন চিন্তাধারার মানুষ। ঠিক যেমনটি ঘটেছিল ১৫ই আগস্টের আগে। তফাৎটা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলো হতো সেনানিবাসে আর তাঁর কন্যাকে হত্যা করার পরিকল্পনাবিষয়ক সভাগুলো হতো রাজনৈতিক দপ্তর হাওয়া ভবনে। আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে, ২১ আগস্টেও বোমা হামলাটি ছিল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। কারণ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনযন্ত্রের একটি বড় অংশ এই হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিল।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন খালেদা জিয়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এ ধরনের একটি ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালালেন? তাঁদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে এক ধরনের রাজতন্ত্র কায়েম করা। তাঁরা মনে করতেন, তাঁদের সামনে একমাত্র আওয়ামী লীগ। মনে করা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়া যাবে এবং বাংলাদেশকে তাদের প্রত্যাশিত একটি মিনি পাকিস্তান বানানো যাবে। কিন্তু তাঁদের ধারণা এ কারণেই ভুল ছিল, কারণ আওয়ামী লীগ শুধু কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এই দলটি জন্ম থেকেই একটি আদর্শ ও অনুভূতির নাম। দলটির জন্মের পর একাধিকবার নিষিদ্ধ হয়েছে, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে; কিন্তু আওয়ামী লীগকে তো হত্যা করা যায়নি। এটা ঠিক, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আওয়ামী লীগ দল হিসেবে একটু ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা ফিরে আসার পর অনেক কষ্টে দলটিকে আবার দাঁড় করিয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এনেছেন। হত্যাকাÐে পরিকল্পনাকারীরা ভ্রান্তভাবে ধারণা করেছিল, শেখ হাসিনাসহ সিনিয়র নেতারা, যাঁরা সেদিন সেই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তাঁদের যদি হত্যা করা যায়, তাহলে আওয়ামী লীগের সমাপ্তি হবে এবং তাদের সামনে বাংলাদেশে একটি নতুন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়ে যাবে।
২১ আগস্টের জনসভাটি ছিল সন্ত্রাসবিরোধী জনসভা। এর আগে দেশে সন্ত্রাস বেড়ে গিয়েছিল ভয়াবহভাবে। বিঘিœত হচ্ছিল মানুষের স্বাভাবিক নিরাপত্তা। শেখ হাসিনা তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি দলীয়ভাবে একটি সন্ত্রাসবিরোধী জনসভার আয়োজন করলেন। স্থান নির্ধারণ করা হয় জিপিওসংলগ্ন মুক্তাঙ্গনে। সভা করার অনুমতি চেয়ে দল থেকে পুলিশের কাছে আবেদন করা হলো। পুলিশের অনুমতি না পেয়ে সভার স্থান পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে করা হলো। এ বিষয়ে সেদিনের একাধিক পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করা হয়। এই স্থানটি ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যেখানে সভা করা হবে তার চারদিকে বেশ উঁচু দালান। শেখ হাসিনা জনস্বার্থে সেদিন ঝুঁকিটা নিয়েছিলেন। পরে তদন্তে দেখা গেছে, অনেক গ্রেনেড ভবনের ওপর থেকে ছোড়া হয়েছে। যেহেতু সেখানে কোনো মঞ্চ তৈরির সময় ছিল না, সেহেতু একটি খোলা ট্রাককে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
সেদিন ঘাতকরা ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল। তার পরও শেখ হাসিনার বেঁচে যাওয়াটা ছিল অনেকটা অলৌকিক। তাঁকে রক্ষা করার জন্য সেদিন দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁর চারপাশে মানববর্ম তৈরি করেছিলেন, ঠিক যেমনটি করা হয়েছিল ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে। ২১ আগস্টেও গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছিলেন দলের ২৪ জন নেতাকর্মী আর আহত হয়েছিলেন পাঁচ শর বেশি। গুরুতর আহত হয়ে কয়েক দিন পর সিএমএইচে মৃত্যুবরণ করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান। এমন একটি ঘটনাকে নিয়ে বিএনপির একাধিক নেতা ঠাট্টা-তামাশা কম করেননি। তাঁদের কয়েকজন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনা নিজেই এই গ্রেনেডগুলো হাতব্যাগে করে নিয়ে এসেছিলেন। কয়েকটি গ্রেনেড অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল, যা আলামত হিসেবে তদন্তে ব্যবহার করা যেত। কিন্তু তা পরদিন সেনা সদস্যরা অন্য স্থানে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নষ্ট করে ফেলেন। সব আলামতও ধুয়ে ফেলা হয়।
শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলে একটি বিশেষ আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। বিচার শেষে বাবরসহ মোট ১৯ জনকে আদালত মৃত্যুদÐ দেন। তারেক রহমানসহ মোট ১৭ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদÐ। তৎকালীন পুলিশপ্রধান আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হুদাকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদÐ। দÐপ্রাপ্তরা অনেকে পলাতক। অনেকে আছেন কারাগারে। তাঁরা প্রায় সবাই উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন।
ঘটনার ১০ মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ৯ জুন জজ মিয়া নামের এক যুবককে সিআইডি আটক করে। ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে জজ মিয়ার কাছ থেকে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। কিন্তু জজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে শুরু থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে এবং একে সাজানো নাটক বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত জজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি মর্মে পরবর্তী তদন্তে উল্লেখ করা হয়।
কেন বারবার এই হত্যাচেষ্টা? উত্তরও খুব সহজ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয় একটি আদর্শ ধারণ করে। ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের আদর্শে বাংলাদেশের গড়ে ওঠার বিপক্ষে যাদের অবস্থান ছিল, তাদের ষড়যন্ত্রেই ১৯৭৫ সালে সপরিবারে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তাঁকে হত্যা করলেও হত্যা করা যায়নি তাঁর আদর্শ। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে তাঁরই আদর্শের পথ ধরে। মুজিবাদর্শের বাংলাদেশ যারা চায় না, তারাই বারবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা কিংবা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। এর নেপথ্যে কাজ করেছে আদর্শ হত্যার চেষ্টা। বাংলাদেশকে প্রগতির পথ থেকে, মুজিবাদর্শের পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায় যারা, তারাই বারবার এই অপচেষ্টা করেছে।
একুশে আগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরও একটি কালো অধ্যায়। যে অধ্যায়টি রচনার সঙ্গে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি নেতৃত্বের যোগ ছিল। রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে সংসদের প্রধান বিরোধী দল, এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নেতৃত্বহীন করে দেয়ার এক নৃশংস ঘটনার দিন এই একুশে আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা হয় জাতির পিতার কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। একুশে আগস্টের ঘটনা ১৯৭৫ সালের পনেরো আগস্টের ঘটনারই ধারাবাহিকতা। ১৯৭৫-এ যা সম্পূর্ণ হয়নি, তা-ই করতে চেয়েছিল ঘাতকরা একুশে আগস্টে।
বিএনপির নেতারা এখন গণতান্ত্রিক রাজনীতির নামে মায়াকান্না কাঁদেন। কিন্তু একুশে আগস্টের এই কলঙ্ক থেকে কীভাবে মুক্ত হবেন? সভ্যজগতে কোনো সরকার বা দল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করার জন্য এমন বর্বর পন্থাকে মদদ জোগাতে পারে তার উদাহরণ বিরল! বাংলাদেশে যারা সমঝোতার রাজনীতির কথা বলেন তারা কীভাবে একুশে আগস্ট ও পনেরো আগস্টকে আড়াল করবেন? কারণ এই দুটি কলঙ্কিত ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিকে চিরস্থায়ীভাবে বিভক্ত করে দিয়েছে, যেখান থেকে আর বের হওয়ার পথ নেই, নেই কোনো ধরনের সমঝোতার পথও। যারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সব বিরোধ মিটিয়ে ফেলে সদ্ভাব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন, তারা এই অমোচনীয় ক্ষত সারাবেন কীভাবে?
লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক