জন্মনিবন্ধন। বর্তমান সময়ে সর্বাধিক আলোচিত একটি বিষয়। জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে চরম হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে- এমনই দাবি সাধারণ মানুষের। এর সাথে আলোচিত হচ্ছে- নতুন জন্মনিবন্ধন বা জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণের জন্য প্রয়োজনীয় নানা শর্ত (কাগজপত্র), দীর্ঘ প্রক্রিয়া, জন্মনিবন্ধন ফি ইত্যাদি বিষয়গুলো।
সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আর ভোগান্তি নয়, এবার ঘরে বসেই জন্মনিবন্ধন করুন’, জন্মনিবন্ধনের জন্য আর চেয়ারম্যান মেম্বারের পিছু ছুটতে হবে না’, ‘সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি অর্থ নিলে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের চাকরি থাকবে না,’ শিরোনামে কিছু কনটেন্ট ভাইরাল হওয়ায় মানুষের জন্মনিবন্ধন সেবা প্রাপ্তির প্রত্যাশা বেড়েছে। প্রত্যাশা অনুাযায়ী সেবা না পাওয়ায় অসন্তোষ বেড়েছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। ফলে সাধারণ মানুষ জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানি বা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সন্তান জন্মদানের চেয়ে জন্মনিবন্ধন কঠিন’, জন্মনিবন্ধনে আর কত ভোগান্তি? এসব লিখে পোস্ট দিয়েছেন, দিচ্ছেন।
আজ লিখতে বসা মূলত জন্মনিবন্ধন নিয়ে কথিত ভোগান্তি, জন্মনিবন্ধন ফি, কি করলে সাধারণ মানুষ জন্মনিবন্ধন সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানি হবে না, নতুন জন্মনিবন্ধনের জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন, জন্ম নিবন্ধন কার্ড সংশোধন/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণের জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন- ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।
২০২২ সালের শুরুতে জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় নিয়ম করলো ১ জানুয়ারি ২০০০ সালের পরে যাদের জন্ম তাদের জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন/ডিজিটালকরণের জন্য বাবা-মায়ের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন থাকতে হবে। বাবার একই সময়ে জন্মগ্রহণকারীদের জন্মসনদ ইংরেজি করতে চাইলে বাবা-মায়ের ইংরেজি জন্মনিবন্ধন থাকতে হবে। আর যাদের জন্ম ২০০০ সালের পূর্বে তাদের জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন/ডিজিটালকরণের জন্য বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্কুল সার্টিফিকেট থাকলে চলবে।
এ প্রক্রিয়া শুরুর পর দেখা গেল অধিকাংশ সেবা প্রার্থীর, যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০০ সালের পরে তাদের বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করা নেই। এজন্য জন্ম নিবন্ধন বা জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন/ডিজিটালকরণের জন্য আগে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল করতে হতো। কথিত ভোগান্তির শুরু এখান থেকেই। যদিও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সম্প্রতি এই নিয়ম উঠিয়ে দিয়েছে। এখন জন্ম নিবন্ধন বা জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণের জন্য আবেদনকারীর নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র, স্কুল সার্টিফিকেট এবং বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই হবে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক বর্তমান নিয়মে নতুন জন্মনিবন্ধনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে:
১) অনলাইনে পূরণকৃত আবেদন ফরম (সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
২) ইপিআই টিকা কার্ডের ফটোকপি (বয়স ৫ বছরের কম হলে)।
৩) পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে হলে টিকা কার্ডসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র।
৪) পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র/ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি (সকলের জন্য প্রযোজ্য)।
৫) হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদের ফটোকপি। (সকলের জন্য প্রযোজ্য)।
৬) আবেদনকারী/অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার (সকলের জন্য প্রযোজ্য)।
৭) আবেদন ফরম এর সাথে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তির ০১ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সকলের জন্য প্রযোজ্য)।
৮) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (পি.এস.সি/জে.এস.সি/এস.এস.সি) এর ফটোকপি।
৯) উপরিউক্ত চাহিতব্য ডকুমেন্ট ছাড়া আবেদনপত্র কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নবজাতকের জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এজন্য নবজাতকের জন্মের সপক্ষে যে কোন প্রমাণপত্র (হাসপাতাল/ক্লিনিকের ছাড়পত্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের প্রত্যয়নপত্র বা ওয়ার্ডে নিযুক্ত চৌকিদারের সাক্ষ্য), অভিভাবকের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদের ফটোকপি, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র/ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি ও নিবন্ধনকৃত ব্যক্তির ০১ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি হলেই চলবে। তবে, জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নবজাতকের জন্মনিবন্ধনের প্রবণতা আমাদের সমাজে খুব কম। বয়স কমানোর প্রবণতা এর জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। আর এই প্রবণতা শিক্ষিত শ্রেণী বিশেষ করে চাকুরীজীবী পরিবারে বেশি দেখা যায়। অর্থাৎ চাকুরীজীবী পরিবারগুলো জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন বেশি লংঘন করছে। সরকার সম্প্রতি জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নবজাতকের জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে এবং দেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে এই লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলছে। ক্ষেত্র বিশেষ নবজাতকের পরিবারকে জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন করাতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু চাকুরীজীবী পরিবারগুলো অর্থাৎ শিক্ষিত সমাজ ঠিকই ফাক ফোকড় খোঁজার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে বলে বাস্তবতার নিরিখে প্রতীয়মান হচ্ছে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১) অনলাইনে পূরণকৃত আবেদন ফরম।
২) মূল জন্ম নিবন্ধন কার্ড।
৩) নিজ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৪) পি.এস.সি/জে.এস.সি/এস.এস.সি সনদের ফটোকপি।
৫) পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৬) ইপিআই টিকা কার্ডের ফটোকপি (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
৭) আবেদনকারী/অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার।
৮) উপরিউক্ত চাহিতব্য ডকুমেন্ট ছাড়া আবেদনপত্র কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
জন্মনিবন্ধন নিয়ে কেন এতো ভোগান্তি?
১) নতুন জন্মনিবন্ধন বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড সংশোধন/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণের জন্য এ সংক্রান্ত ১নং শর্ত পূরণ করলেই আপনার ভোগান্তি শূন্যে নেমে আসবে। ১নং শর্ত হলো অনলাইনে সঠিকভাবে আবেদন করে (প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করে অনলাইনে সাবমিট করতে ভুলবেন না) তার প্রিন্ট কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হবে। বিশে^র যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনে যে কেউ এই আবেদন করতে পারেন।
২) মূলত ৯৯.৯৯ ভাগেরও বেশি মানুষ অনলাইনে আবেদন না করেই ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। এতে সবার আবেদনের চাপ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উপর পড়ে। অনেকে একসাথে ৫টি, ৬টি এমনকি বাড়ির সবার অর্থাৎ ১২/১৩ জনের জন্মনিবন্ধনও এক সাথে সংশোধন/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণের জন্য নিয়ে আসেন। প্রতিদিন শত শত মানুষের আবেদনের চাপ ডিজিটাল সেন্টারের দু’জন উদ্যোক্তার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তার উপর সার্ভার ঠিক মত কাজ করে না (ডাউন হয়ে যায়)। বিদ্যুৎ থাকে না। ইউনিয়ন পরিষদে আগত অন্যান্য সেবা প্রার্থীদের চাপ এবং অন্যান্য কাজ তো আছেই।
৩) অনলাইনে সঠিকভাবে আবেদন করে তার প্রিন্ট কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে আসলেই ইউপি সচিব সঙ্গে সঙ্গে তা পরীক্ষা নিরীক্ষা পূর্বক কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই আপনাকে সেবা দিতে সক্ষম।
৪) আপনি যদি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে আবেদন করে নিতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ নির্ধারিত সিরিয়াল অনুযায়ী আবেদন করে নিতে হবে। এজন্য ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা যতটুকু বা যতদিন সময় চাইবে, তা আপনাকে দিতে হবে। জরুরী প্রয়োজন, এখনই লাগবে, কেন এখন হবে না- এসব কথার জবাব উদ্যোক্তা বা ইউনিয়ন পরিষদ দিতে বাধ্য নয়। এতোটুকু ভাবলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, গোটা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের জন্মনিবন্ধনের সংশোধন, ডিজিটালকরণ বা ইংরেজিকরণের আবেদনের চাপ একটি মাত্র ডিজিটাল সেন্টারের পক্ষে স্বল্পতম সময়ে করা সম্ভব কি না।
৫) তবে, নবজাতকের জন্মনিবন্ধন বা অন্য যে কোন বয়সের মানুষের নতুন জন্মনিবন্ধনের কাজ ইউনিয়ন পরিষদ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করে থাকে।
জন্মনিবন্ধন ফি কত?
১) নবজাতকের অর্থাৎ ০-৪৫ দিন বয়সের বাচ্চাদের জন্মনিবন্ধন ফ্রি। ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর বয়সীদের জন্মনিবন্ধনের ফি ২৫ টাকা এবং ৫ বছরের ঊর্ধ্বের সকলের জন্মনিবন্ধন ফি ৫০ টাকা। এছাড়া জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন (জন্মতারিখ ব্যতীত)/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণের সরকারি ফি ৫০ টাকা এবং জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন ফি ১০০ টাকা। উপরে উল্লিখিত ফি সরকার নির্ধারিত এবং তা চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত কোডে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়।
২) এক্ষেত্রে একটি সাধারণ প্রশ্ন; জন্মনিবন্ধনের ফি বেশি নেওয়া হয় কেন? উত্তরটি সহজ কিন্তু সকলের অজানা। আর এই অজানা বিষয়টি হলো- ৯৯.৯৯ ভাগেরও বেশি মানুষ নতুন জন্মনিবন্ধন বা জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণের জন্য অনলাইনে আবেদন না করেই ইউনিয়ন পরিষদে আসেন এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে আবেদন করে নেন। সকলকে মনে রাখতে হবে যে, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা ইউনিয়ন পরিষদের অনুগত থেকে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ ব্যবসায়ী। তারা সরকারি কর্মচারী নন, এমন কি ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীও নন। তাদের থেকে কোন সেবা নিলে অবশ্যই পারিশ্রমিক দিতে হবে বা প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতে হবে। যেমনটি বাজারের কোন দোকান থেকে কিছু কিনলে বা কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে জন্মনিবন্ধনের আবেদনটি করে আনতে গেলে দিতে হয়।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে- ইউপি সচিবের কাজ কি, এখনেও উত্তর সহজ- কিন্তু সবার অজানা। আপনি অনলাইনে সঠিকভাবে আবেদন করে তার প্রিন্ট কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে আসলেই ইউপি সচিব তা পরীক্ষা নিরীক্ষা পূর্বক একটি ক্লিক করলেই তার কাজ সম্পন্ন হয়। নতুন জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে এবার তা (ইউপি সচিব ক্লিক করার পর) স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যায় চেয়ারম্যানের আইডিতে। তিনি ক্লিক করলেই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। এরপর সনদটি প্রিন্ট করে ইউপি সচিব, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের পর গ্রাহককে সরবরাহ করা হয়।
আবার, জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণের জন্য অনলাইনে সঠিকভাবে আবেদন করে তার প্রিন্ট কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে আসলেই ইউপি সচিব তা পরীক্ষা নিরীক্ষা পূর্বক একটি ক্লিক করলেই চলে যায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আইডিতে (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/ডিজিএলজি)। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আবেদনের সাথে স্ক্যান করে সাবমিট করা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক করে তা রিজেক্ট বা অ্যাপ্রুভ করেন। রিজেক্ট বা অ্যাপ্রুভ যাই করেন না কেন, তা ফিরে আসে ইউনিয়ন পরিষদের আইডিতে। অ্যাপ্রুভ করলে সনদটি প্রিন্ট করে ইউপি সচিব, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের পর গ্রাহককে সরবরাহ করা হয়। আর রিজেক্ট করলে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, পূর্বে কৃত জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন/ডিজিটাল/ইংরেজিকরণ এমনকি পূর্বে কৃত জন্মনিবন্ধন সনদে দাড়ি কমা পরিবর্তন করতে গেলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/ডিজিএলজি) অনুমোদন লাগে। অর্থাৎ জন্মনিবন্ধন সনদে যে কোন সংযোজন বিয়োজন সংশোধনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/ডিজিএলজি) অনুমোদন লাগে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এগুলো না ভেবেই হয়রানি হচ্ছেন বলে দাবি করেন।
তাই জন্মনিবন্ধন সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বা বেশি অর্থ নিচ্ছে- এমনটি ভাবার আগে নিজের করণীয়গুলো সম্পন্ন করুন। নিজে অনলাইনে আবেদন করে প্রিন্ট কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বা নিবন্ধকের কার্যালয়ে যান, দেখবেন দায়িত্বরত ব্যক্তিগণ যেমন বেশি অর্থ দাবি করতে পারবে না, তেমনি আপনার কাজ দ্রুততার সাথে হয়ে যাবে। তারপরও যদি না হয়, সরাসরি অভিযোগ করুন চেয়ারম্যান বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। লেখক: ইউপি সচিব।
লেখক : তানজির কচি
ইউপি সচিব-১২নং বল্লী ইউপি, সাতক্ষীরা সদর, সাতক্ষীরা