বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আজ প্রায় ৫০বছর হলো। ইতিমধ্যেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে জাতীয়ভাবে অনেক সম্মানিত করা হয়েছে এবং এখনো করা হচ্ছে। প্রথমে গরীব,দুস্থ,পংগু ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করা শুরু হয় এবং পরবর্তীতে ভাতা বৃদ্ধি করা হয় ও বর্তমানে সকল মুক্তি যোদ্ধাদেরকেই ভাতা প্রদান করা শুরু হয়েছে।
দেশ স্বাধীন এর পর জাতির জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানের জন্য কল্যান ট্রাস্ট গঠন করেন সেখানে কিছু শিল্প কারখানা হস্তান্তর করা হয়েছিল যার আয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হতো। কিন্তু দেখা গেল কিছু অসৎ মানুষের কুকর্মের কারণে সব লুট পাট হয় গেল। অথচ আজতক ঐসকল লুটেরাগন কোন ভাবে আইনের আওতায় আসেনি যা খুবই দুঃখজনক।
মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুক্তি যোদ্ধাদেের সন্মান ও জীবন মান উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে মেয়ে নাতি নাতনী সহ সবার জন্যে চাকরির কোঠার ব্যবস্থা করেছেন, মৃত্যুর পর গার্ড অফ অনার এর ব্যবস্থা করেছেন, গরীব গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধোদের গৃহের সংস্থান করছেন, ও তারা সর্ব কালের শ্রেষ্ট সন্তান হিসেবে আক্ষায়িত করেছেন। অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের কে বাড়ি নির্মানের জন্য লোনের ব্যবস্থা করছেন। এছাড়াও চিকিৎসা ও অন্যান্য সবিধা প্রদানের চিন্তা ভাবনা করছেন। তাঁর এইসকল কল্যানকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।
আমরা গভীর ভাবে লক্ষ্য করছি কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তির অসততার কারণে মুক্তিযোদ্ধোদের কল্যানের জন্য গৃহীত সকল পদক্ষেপ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানের জন্য প্রদত্ত সুযোগ সুবিধার কারণে অনেক ভুয়া লোক মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই তারা অনেক সুবিধা ভোগ করছে এবং কিছু অসাধু সরকারি কর্ম কর্তা ও বেসরকারি ব্যক্তি তাদেরকে সহায়তা করছে। এটা অন্যায় এবং গুরুতর অপরাধ ও বটে। আজ অবধি তাদের বিরুদ্ধে সত্যিকার অর্থে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পারিনি।
মুক্তিযোদ্ধাগন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবী সরকারের কাছে পেশ করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো
১. মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় বীর হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান।
২. প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা বহাল রাখা।
৩. ভুয়া ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা।
৪. জীবদ্দশায় তাদেরকে প্রদত্ত সুবিধাদি ও সন্মান সর্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও সমুন্নত রাখা।
৫. স্থায়ী ভাবে সার্টিফিকেট প্রদান।
৬. সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
৭. আজীবন সন্মানের সহিত বসবাস নিশ্চিত করা।
বর্তমান সদাসয় সরকারের কাছে দেশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগন উপরোক্ত সকল দাবী গুলি অনতি বিলম্বে বাস্তবায়নের আশা করে।
জয় বাংলা।