উত্তুরে হাওয়া আসছে বলেই অতিবাহিত হচ্ছে শীতকাল। অবশ্য শীতের আমেজ শুরু হয়েছে হেমন্ত থেকেই। হেমন্তের হাওয়ায় বদলে যায় ঋতুচক্র। প্রাণঘাতী শীতে প্রত্যেক জাতিই তার স্বকীয়তাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালায়। আষাঢ়ে বর্ষা আর মাঘের শীত বলার মত মানুষ এখনও আছে। লাগাতার ঘনকুয়াশায় আকাশের মুখ মলিন হয়ে যায়। কয়েকদিন যাবত তাকে আর হাসি-খুশি দেখা যায় না। দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশু কিশোরেরা অনেকে ঘর বন্দি থাকে। কমতে থাকে তাপমাত্রা। বাংলাদেশে সর্বনি¤œ তাপমাত্রার দুটি রেকর্ড আছে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায়। এখানে ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি তাপমাত্রা নামে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অপর রেকর্ড শ্রীমঙ্গলে। ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন শীতে জীবন প্রবাহ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। ঋতু চক্রের আবর্তনে শীতে হিমেল হাওয়ার চাবুকে পুষ্টিহীন শরীরে দুর্লভ হয়ে পড়ে উম।
ছয়টি ঋতুর মধ্যে শীত হলো সমৃদ্ধির কাল। সমাজে, জীবনে, প্রগতিতে শীতের প্রভাবকে অস্বীকার করা যায় না। পৌষের প্রথম পক্ষের ছোটো ছোটো দিনগুলোও দ্রুত ফুরিয়ে যায়। এ মাসে ফসল ঘরে তোলার উৎসব হয়ে থাকে। বছর বছর এ উৎসব আমেজ ফিকে হয়ে আসছে। দু দশক আগেও পৌষ এলে অনেক এলাকাতেই শিশু-কিশোরেরা নাটক মঞ্চায়ন করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠতো। যাত্রা আর সার্কাসেরও তাঁবু বসে যেত গ্রামে গ্রামে। হিড়িক পড়তো লোকজ বিনোদনের। সে ধারা এখন বিলুপ্ত হতে বসেছে নানা কারণে। জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির দেড় দশক পরেও গ্রামীণ পরিবারে ঢেঁকির আওয়াজ পাওয়া যেত। ধূম পড়ে যেত পিঠে খাওয়ার। এখন তা সীমিত হয়ে আসছে। একান্নবতী পরিবার তখন স্বাভাবিক ছিল। বাড়ির কর্তারা রোজগারের উপায় অবলম্বন করতেন একই ধরনের রোজগারের মাধ্যমে। তাই সমাজ সংসারে লেগেই থাকত উৎসব। কিন্তু এখন একটি পরিবার ভেঙে অসংখ্য পরিবারে পরিণত। ভিন্ন ভিন্ন পেশার মানুষ বাড়ছে। তাই হারিয়ে যাচ্ছে পিঠে খাওয়ার আনন্দ। জীবন এখন ফাস্ট ফুডের দোকান নির্ভর।
এ প্রজন্মের শহুরে শিশুরা পাঠ্য পুস্তকে পিঠে পুলির নাম জানতে পারে। কিন্তু সবাই খাবার সুযোগ পায় না। শীতের পিঠা বিখ্যাত হয়ে আছে ভোজন রসিক পরিবারে। এই উপাদেয় খাবারে শিশুদের আবদার বেশি। পিঠার আকার আকৃতি-স্বাদ বিচিত্র। সারা বছর পিঠা তৈরি করা হলেও শীতের পিঠার স্বাদ বেশি। কারণ খেজুরের রস ও পাটালি গুড়। এই পিঠা আমাদের জীবন ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর পাশাপাশি শীতকে প্রতিনিয়ত উপভোগ্য করে তোলে নরম রোদ আর শাক সবজি। শালগম, টমেটো, ওলকপি, লেটুস, লাউ, বেতুয়া, রাধাপুর্ণিমা, পালং, পুঁই প্রভৃতি। সব খাবারের স্বাদ বাড়ায় আদরের ধনিয়া পাতা। পৌষ আসতে না আসতেই বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা পায় লম্বা ছুটি। পুরো ডিসেম্বর অফুরন্ত সময়। এ সময় যারা গ্রামে আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যায় তারা খেজুরের রস আর পিঠে খাওয়ার স্বাদ নিয়ে ঘরে ফেরে। তাদের কাছে বলগাহীন আনন্দে ভেসে যাওয়ার উপযুক্ত সময়ই শীতকাল। ধানকাটা মাঠে ডাঙ্গুলি, কাবাডি, কিংবা ব্যাট বল ও ব্যাডমিন্টন নিয়ে কেটে যায় শীতের দিনগুলি। নরম রোদ আর ফিকে সবুজ মাঠ হলো ক্রিকেটের অনুষঙ্গ। সাহেবিয়ানার ঘ্রাণ এর প্রতিটি বিভাগে ছড়িয়ে আছে। সন্ধ্যা রাতে পাড়ায় পাড়ায় আগের মতো ব্যাডমিন্টন খেলার চলও কমে গেছে। ফ্ল্যাড আলোর ঝরনা তলায় শূন্যে তেমন নাচে না প্লাস্টিকের ফেদার। শহুরে পুষ্পমেলা আর পিঠে উৎসব তো স্নেহপটু মায়ের কথা মনে করে দেয়। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধববলয়ে স্নেহ মমতার বাঁধন গুলো স্বার্থের স্রোতে ক্রমশ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হচ্ছে। এর মধ্যেই চলছে ক্রিকেট বন্দনা। একালে তাপমাত্রা বেশ নেমে আসে বলে দিনে রোদ রাতে উম বেশ উপভোগ্য।
এ ঋতুতে গ্রীষ্মের আগুন ঝরা তাপ ও আদ্রতা সহ্য করতে হয় না। বর্ষাকালের মতো স্যাঁতস্যাতে ভাব, কাদা পানির রাস্তা আর লাগাতার বৃষ্টিতে ভোগান্তির ব্যাপার নেই। তবু শীতকাল অনেকেরই ভাল লাগে। আগে উত্তুরে হিমেল হাওয়ায় গা কাঁপানো শীত নামতো। কিন্তু বাড়ি গাড়ি আর জনমনুষ্যের সংখ্যা যত ভারী হচ্ছে ততই কমছে শীতের দাপট। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে প্রকৃতি। শীতকালও আমাদের ভরসা দেয়। পৃথিবী তেতে ওঠার লয় বিলম্বিত হয়। একালে কাঁঠাল কোরকে টলটল করে হিমবিন্দু। কাঁঠাল গাছে উঁকি মারে কোঁড়। কুয়াশা রেণুর মধ্যে এই শীতেই ডোঙার মতো ঢাকনা ফেটে বেরিয়ে পড়ে কচি কাঁঠাল। আকাশমুখি থাকার পর ধীরে ধীরে নুয়ে পড়বে কলি। সজিনা ফুলও ফুটে যাবে। ক্ষেত জুড়ে হেসে উঠবে মটরফুলের বেগুনি পাপড়ি। দিগন্ত জুড়ে ফুটে যায় সরিষা ফুল। বাগানে বাগানে আর ছাদের টবে ফুটছে শীতের নানা রকম ফুল। দেশি ফুলের মধ্যে কৃষ্ণকলি, আকাশনিম, দশবাইচন্ডি, গাঁদা, সূর্যমুখি, অশোক, পারিজাত, জারুল, শিমুল, মাখনা, প্রভৃতি। এছাড়া বিদেশি ফুলের মধ্যে ডালিয়া, পিটুনিয়া, জিনিয়া, বাটন, কারনেশন, কসমস, লিলি ও পপি। এ সময় বাগান আর টবের চেয়ে বেশি ফুল ফোটে বনে জঙ্গলে। প্রবল শীতে যেমন চন্দ্রমল্লিকার রূপ বাড়ে তেমনি প্রকৃতিও হয়ে ওঠে সুন্দর। শীতের শুরুতেই আমাদের মহান বিজয় অর্জিত হয়।
শীতের শীর্নতোয়া নদীর মতো কাতর হয়ে পড়ে গরিব মানুষের শরীর। পুষ্টিহীন মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে সাত সকালে গায়ে এক ফালি ‘ত্যানা’ জড়িয়ে শ্রম বিক্রির আশায় বাজারে গিয়ে বসে। শ্রম বিকোয়। আবহমান বাঙালি ক্ষেত নির্ভর। এখনও তাই। সভ্যতা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যতই সভ্যতার সিঁড়ি ধরে ওপরে উঠে যাচ্ছে ততই সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। শীতাক্রান্ত মানুষের আত্মপরিচয় সামাজিক উপাদানগুলোর মধ্যে মিশে রয়েছে। সংবাদ সাহিত্যে শীতার্তদের কথা খবর জীবীদের একটি প্রিয় বিষয় হয়ে ওঠে। অসহায় পরিবারের মধ্যে সরকারিভাবে দলীয়ভাবে এবং ব্যক্তি উদ্যোগে শুরু হয় শীতবস্ত্র বিতরণ। তাদের পশমী পোশাক দিয়ে, কম্বল দিয়ে উমবদ্ধ জীবনে আনন্দের অনুভব এনে দেন তারা। ঠান্ডায় জমে যাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষ একটু গরমের জন্যে ভোর বেলা শীতল বিছানা ছেড়ে খড় কুটো জ্বালিয়ে আগুন জ্বালায়। রাতে তারা শীত কষ্টে ঘুমাতে পারে না। গোটা রাত তারা ছেঁড়া কাঁথার নিচে কুলি পাকিয়ে থাকে। মা-বোনদেরও শৈত্য প্রবাহে জুবুথুবু অবস্থা হয়। এ সময় শিশুদের লালন পালনে তারা বিপর্যস্ত। শীতকালে অনেকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যান। তাদের অনেকে জানেন- আমাদের দেশে শীতকালে মাঝে মাঝে সন্ধ্যা ও রাতে কুয়াশাপাত হয়। থেকে থেকে সকাল পর্যন্ত অবস্থান করে। কুয়াশা এত ঘন হয় যে রাস্তাঘাটে যানচলাচল ব্যাহত হয়। কাছের মানুষও দেখা যায় না। উত্তরাঞ্চলের পাবনা-সিরাজগঞ্জসহ রংপুর-দিনাজপুরে কুয়াশা বেশ জাঁকিয়ে বসে। সকালেও হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে যানচলাচল করে।
পৌষের প্রতাপ আর কুয়াশায় কাতর করা মাঘের মহিমা জেগে ওঠে বুড়ো-বুড়িদের মনে। হিমেল হাওয়ার ফলা কানটুপি, বা মাফলারের মোচড়েও বাধা মানে না। যাদের রুম হিটার আছে, পানি গরমের মেসিন আছে তাদের কথা অবশ্য আলাদা। ভোগবাদের প্রভাবে প্রভান্বিত পরিবারের মানুষ শান্ত বিকেলে কাঁধে শাল ঝুলিয়ে কেউ বা স্যুট-কোর্ট পরে দিব্যি ঘুরে বেড়ান সুখী মানুষের মতো। এ মৌসুমের মজা যেন তাদের কাছে বন্দি। রোদ খাওয়া মোটা লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর আরামই আলাদা। রাতে শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক শুনতেও ভাল লাগে। সকালে তো গরম বিছানা ছেড়ে উঠতেই ইচ্ছে করে না। অনেকের কাছে এ ঋতু অলসতার ঋতু। ঠান্ডায় কাতর হওয়া শরীর নিয়ে সকাল আর দুপুরে কমলা রোদ পোহাবার ঋতুর নামই শীত। সরষে তেল গায়ে মেখে পুকুরে ডুব দেয়া আর আঙিনার রোদে বসে ভাত খাওয়া মানেই শীতের আদর খাওয়া। দুপুরে লুডু, ক্যারাম বা অন্যান্য খেলার মানুষ কমে গেছে। জীবন এখন গতিময়। দম নেয়া মানেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়া। বিকালে আনন্দময় মুহুর্তগুলো আজো অনেকের স্মৃতিতে বেঁচে আছে। রাতে লেপের তলে ঢুকে হাতে রিমোট নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেল পরিভ্রমণ করার মানুষও বাড়ছে। নতুন প্রজন্মের হাতে হাতে নেটওয়াকিং সাইট, গেমসের মোহজাল। কমছে কেবল বইয়ের পাঠক। করোনাকালে সাহিত্যের বই সরিয়ে দিয়ে জায়গা নিচ্ছে টিভি। অলস জীবন যাপন মানে রোগে আক্রান্ত হওয়া। এই শীতেই বড় দিন। খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব। তাদের পরিবারে ধূম পড়ে যায় পিঠে তৈরির। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে তারা। আলোর মালায় সেজে ওঠা গির্জা। শীত এলে ইতিহাসের স্মরণীয় দিনগুলির কথাও অনেকের মনে পড়ে।
এ ঋতু কেবল হাড় কাঁপানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রাকৃতিক পাঁচালি। গা কাঁপানো শীতে পশুর ক্লিষ্ট জীবনের মতো কিছু দুর্ভাগ্যপীড়িত মানুষেরা আজো জ্বলে উঠতে পারছে না নিয়মিত রোজগারের পথ অভাবে। সরীসৃপ ও উভচর প্রাণী শীত নিদ্রায় চলে যায়। কুনো ব্যাঙ আশ্রয় নেয় ঘরকোণে। শীত নিদ্রায় যাওয়ার আগে এ সকল প্রাণী বেশি বেশি খাবার খেয়ে শরীরে চর্বি বাড়িয়ে নেয়। নিদ্রায় থাকাকালে সঞ্চিত চর্বি ফুরিয়ে গেলে তাদের শীত ঘুম ভেঙে যায়। তারা বেড়িয়ে পড়ে খাবারের খোঁজে।
পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবোধ সম্পর্কে যারা উদাসীন নয় তারাই শীতকালে সুস্থ থাকে। তারপরেও শীতে বড় বড় শহরের বায়ুমন্ডল ধুলো আর ধোঁয়ার ভরে যায়। সন্ধ্যার দিকে শ্বাস-প্রশ্বাস হয়ে ওঠে কষ্টকর।
আনন্দ ও শোক নিয়েই শীতকাল। কেবল রোমঞ্চকর কক্ষপথ ঘুরে টিকে আছে পিকনিকের মজা ও হুল্লোড়। শীত একটু বেশি পড়লে ঢাকাবাসীর ভারী আহলাদ হয়। শীতকালে লেখা-পড়ার চাপ কম থাকে বলে অনেকে শিক্ষা সফরে বেরিয়ে পড়ে। জমে ওঠে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার, কুয়াকাটা সুন্দরবন, এলাকা। বাদ যায় না নাটোর-পাকশী-দিনাজপুর। প্রকৃত শীতের আনন্দ উপভোগ করতে দেশের কয়েকটি স্থানের মধ্যে পাকশী অন্যতম। যা ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মা নদী তীরে অবস্থিত। শীতের আসল আনন্দ এখানেও প্রাণ ভরে উপভোগ করা যায়। বিরাট পাকশী ব্রিজের ইস্পাতের ষোলটি স্প্যান চুইয়ে যেন দারুণ শীত নামে। মাঝে মধ্যে কুয়াশা নামে মেঘের মতো। নিথর পদ্মা নদীকে ভোর বেলা দেখলে মনে হয় একটু একটু করে আকাশে উঠে যাচ্ছে। আকাশ নদী একাকার। তারই মাঝে ব্রিজ। ঝমঝম সুর তুলে সার্চ লাইটের আলো ফেলে ট্রেন ছুটে আসে। ধাতব শব্দ শুনে গা শির শির করে ওঠে। ট্রেনকে দেখে মনে হয় বিশাল সেতু থেকে অজগর বেরিয়ে আসছে। পাশের লালন শাহ সেতুতে কুয়াশা ভেদ করে ছুটে চলে যান বাহন। এ দৃশ্যের তুলনা হয় না। আমাদের দেশে এ ঋতুতে অনেক অতিথি পাখি আসে হিমালয়ের ওপাশ থেকে। কিছু আসে সাইবেরিয়া থেকে। পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে কিছু পাখি এদেশে যাত্রা বিরতি করে আবার রওয়ানা দেয়। নদীর মোহনা, চরাঞ্চল, বিল, হাওর, বাওড়, দীঘিতে কাদাখোচা, চাপাখিসহ নানা রকম পাখি দেখা যায়। চিড়িয়াখানা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্রদে অতিথি পাখি দেখার জন্যে একালে বেশ ভীড় জমে। পরিযায়ী পাখিরা এদেশে বিলাঞ্চলে খাবার আশায় আশ্রয় নেয়। এসকল পাখি দেখেও আনন্দ উপভোগ করা যায়।
লেখক : সাংবাদিক ও কলাম লেখক ।