যারা আমাকে একুশে পদক দেয়ার জন্য দাবী জানিয়েছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহম্মেদ

যারা আমাকে একুশে পদক দেয়ার জন্য দাবী জানিয়ে আসছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রথমে আমার দুই সাংবাদিক বন্ধুকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি তারা হচ্ছেন, কালের কন্ঠ চট্টগ্রাম ব্যুরো মোস্তফা নাইম। অন্য জন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসীন কাজী।
গত ১০ ই জুলাই ২০২০ সালে আমার ৭৬ তম জন্ম দিনে মোস্তফা নাইম ফেইসবুকে আমাকে একুশে পদক দেয়ার দাবীটি তুলেছিলেন। সাথে সাথেই পোয়া পাড়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা সায়েদুল হক সমর্থন করে বিবৃতি দেন। এর পর বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের মাধ্যমে বান্দরবানে প্রণোদনা প্রদান অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুরের উপস্থিতিতে মহসীন কাজী একুশে পদক দেয়ার জন্য দাবী তুলেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানের উপস্থিত সকল সাংবাদিকগণ এই দবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
তারপর থেকেই শুরু হয়ে গেল দাবী এবং দাবীর প্রতি সমর্থন; এমন কোনো দিন ছিল না যে ফেইসবুকে এ দাবী ছিলনা; প্রতিদিনই নতুন কেউ এই দাবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। সময়ের সাথে সাথে ঢাকার বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক বাংলা এবং ইংরেজীতে এই দাবির পক্ষে ব্যাপক সমর্থন যুগিয়েছে। পরবর্তীতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক জনাব এ,কে,এম মামুনুর রশিদ মহোদয় একুশে পদকের জন্য সরকারের নিকট আবেদন করার পর দাবী আরও জোরালো হয়ে উঠলো। আবেদনের সময় সাংবাদিক নন্দন দেবনাথ এবং ইয়াছিন রানা সোহেল অনেক বার করে কাগজপত্র তৈরী করে দিয়েছিল সে জন্য তাদের দুই জনকে ধন্যবাদ।
ইতিমধ্যে আমার সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাব, বাঘাইছড়ি পৌরসভা ও উপজেলা প্রসাশনসহ জনসাধারণ এক বিরোচিত সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল; সেখানেও এই দাবী উত্থাপিত হয়।
এর পর কাপ্তাই প্রেস ক্লাব ও উপজেলা প্রসাশন এক বর্নাঢ্য সংবর্ধনার আয়োজন করে। সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, পেশাজীবি সংগঠন এবং সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দের অংশ গ্রহণে প্রানবন্ত হয়ে উঠেছিল সে অনুষ্ঠান; সেখানেও একই দাবী উঠে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২০ লংগদু প্রেস ক্লাব এবং উপজেলা প্রসাশনের উদ্যেগে সংবর্ধণা এবং পাহাড়ের সংবাদপত্র ও প্রকাশনা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সে খানেও দাবী ছিল একুশে পদক। সকল সম্প্রদায়ের অংশ গ্রহণে অত্যন্ত আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছিল। অনুষ্ঠানটি।
গত ২৬ জানুয়ারী ২০২১ রাজস্থলী প্রেস ক্লাব আরেকটি সংবর্ধনার আয়োজন করে ছিল। এই অনুষ্ঠান ছিল এক চমকপ্রদ ঘটনা। মাত্র ২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত একটা প্রেস ক্লাব সদস্য সংখ্যা মাত্র ৭ জন। আজগর আলী খানের নেতৃত্বে এক বিরাট আয়োজন। সেখানে উপজেলা প্রসাশনসহ পেশাজীবি সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনের অংশ গ্রহণ ছিল দেখার মত।
ইতি মধ্যে ৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ অথ্যাৎ ২১ পদক ঘোষণার পরদিন রাঙামাটি প্রেস ক্লাব এক জমজমাট সংবর্ধনার আয়োজন করে। প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা খাদ্য সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বন কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব নুরুল আলম নিজামী, জেলা প্রসাশক এ,কেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মোদদাছছের হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন।
খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি জিতেন বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মোহাম্মদ এবং দৈনিক অরণ্য বার্তা সম্পাদক ও বিটিভির লোক লোকালয় অনুষ্ঠানের পরিচালক চৌধুরী আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতাব্বর, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি জিতেন বড়–য়া এবং রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদসহ আরও কয়েজন আমাকে একুশে পদক প্রদানের দাবী জানিয়েছিল সে অনুষ্ঠানেও। এখনও এ দাবী অব্যাহত রয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দীপংকর তালুকদার এমপি ঘোষণা করেছেন যে, সকলে মিলে আগামীতে একুশে পদক পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালানোর জন্য ঘোষণা জানিয়েছেন।
সে অনুষ্ঠানটি আমার মনের মুকুরে আজীবন জাগরিত থাকবে জাঁকজমকপূর্ণ ও প্রাণবন্ত ওই অনুষ্ঠানে সকলে অভিব্যক্তি দেখে আমার মনে হলো প্রেসক্লাব গুণীজন হিসেবে আমাকে যে সম্মাননা স্মারক তুলে দিচ্ছে সেটাই যেন আমার কাছে একুশে পদকের অনুভ’তি।
এখনও বিভিন্ন উপজেলাতে সংবর্ধনার আয়োজন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি উপজেলা এবং রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে সংবর্ধনায় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটি সম্পাদক আনোয়ার আল-হকসহ প্রেস ক্লাবের নতুন পুরাতন সদস্য গণ সহাযোগিতার প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান পুরোপুরি সফল হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ায় আলাদা এক ব্যঞ্জনা এসেছিল। ধন্যবাদ আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি প্রেসক্লাবকে।

আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহম্মেদ
Comments (0)
Add Comment