নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কর সিটির আসন্ন মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রে ম্যাক-গায়ারকে সমর্থন জানালেন বাংলাদেশী কমিউনিটি লীডার, ডেমোক্র্যাট পার্টির ডিষ্ট্রিক্ট লীডার এট লার্জ, কুইন্স এটর্নী মঈন চৌধুরী। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল)) অপরাহ্নে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় আয়োজিত এক জনাকীর্ণ এক অনুষ্ঠানে মঈন চৌধুরী মেয়র হিসেবে রে’র নাম ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, রে ম্যাক-গায়ার বিগত ১৩ বছর যাবত সিটি গ্রুপের গ্লোবাল কর্পোরেট এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রেকর্ড গড়েছেন। চলতি বছর অনুষ্ঠিতব্য নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে তাকে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আগামী ২২ জুন অনুষ্ঠিত হবে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাইমারী নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন মোট ১৩ জন ডেমোক্র্যাট। খবর ইউএনএ’র।
অনুষ্ঠানে মেয়র প্রার্থী রে ম্যাক-গায়ার তার প্রার্থীর কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি নির্বাচনী হলে অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য বলে পরিচিত নিউইয়র্কের এই সিটির সকল অভিবাসীদের সকল সুযোগ সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কল্যাণে ভূমিকা রাখবেন, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি সহ হোমলেসদের কল্যাণে কর্মসূচী গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, আমি পলিটিশিয়ান নই, আমি জনসেবা করতে চাই, রাজনীতি নয়। তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটরা সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। সকল মানুষের ধর্মীয় চেতনা যথাযথভাবে লালন ও পালনের ক্ষেত্রেও ডেমোক্র্যাট হিসেবে আমি উদার। তবে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব হচ্ছে শিক্ষা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ সফর করবেন।
এটর্নী মঈন চৌধুরী ম্যাক-গায়ারকে একজন যোগ্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তিনি নির্বাচিত হলে অভিবাসীরা উপকৃত হবে বলেন জানান। তিনি বলেন, আগামী মেয়র নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী দেখছি। আমি সবার বায়োটাডা দেখেছি, তাতে মনে হচ্ছে রে যোগ্য মেয়র প্রার্থী, তাই তাকে সমর্থন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বিশ্বের ১৩৯টি ভাষা-ভাষীর মানুষের বসতি। রে অভিবাসীদের সম্পর্কে অবহিত এবয় অভিবাসীদের সমস্যা বোঝেন। অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ সহ এশিয়ান কমিউনিটির নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেন।
মেয়র প্রার্থী রে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের দেশ, বিশেষ করে নিউইয়র্ক অভিবাসীদের রাজ্য হওয়ায় সিটির মেয়র অফিস অভিবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নানা চ্যালেঞ্চ মোকাবেলা করে চলেছি। আমি অভিবাসীদের উৎসব দেখতে চাই, আনন্দ দেখতে চাই। আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে অভিবাসীদের অধিকার বিশেষ করে শিক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা, কর্মসংস্থান, হোমলেস সমস্যা, অর্থনীতিকে চাঙ্গা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তিনি অগ্রাধিকার দেবেন। তিনি বলেন, আমি পিছনে তাকাতে চাই না, সামনে এগুতে চাই।
প্রতি বছর ‘দুই ঈদে সিটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা’ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে রে বলেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে এটর্নী মঈন চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে পরামর্শ করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। রে তার বক্তব্যের শুরুতে এটর্নী মঈনকে ‘গ্রেট লীডার’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান, জেবিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তা সাদী মিন্টু, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট জাকির হোসেন বাচ্চু সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জ্যাকসন হাইটস মার্চেন্টাইস এসোসিয়েশনের সভাপতি সহ অন্যান্য কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।