নিউইয়র্ক (ইউএনএ) : ইউএস সিনেটের মেজরীটি লীডার চাক শুমার যুক্তরাষ্ট্রের চলমান পরিস্থিতির জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প-এর কর্মকান্ডকে দায়ী করে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর ইমিগ্রেশনকে সহজতর করা, মুসলিম ব্যান্ড বাতিল সহ আমেরিকানদের জন্য সম্ভব সব কিছু করছেন। কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন দাবী দাওয়ার প্রেক্ষিতে চাক সুমার বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরই লোক, আমেরিকানদের জন্য কাজ করছি, কাজ করে যাবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটি গ্রেট এন্ড বিউটিফুল, রিলিজিয়াস, ফ্যামিলিয়ান কমিউনিটি। খবর ইউএনএ’র।
বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটি ইনক আয়োজিত ‘মিট এন্ড গ্রীল উইথ মেজরীটি লীডার সিনেটর চাক শুমার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিনেটর চাক শুমার উপরোক্ত করা বলেন। শুক্রবার বিকেলে কুইন্সের হিলসাইড এভিনিউর পার্সন বুলেভার্ডস্থ মতিন রেষ্টুরেন্টে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশীদের কোন অনুষ্ঠানে এটি তার দ্বিতীয়বারের মতো যোগদান। আর ইউএস সিনেটের মেজরীটি লীডার হিসেবে বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটিতে এটি তার প্রথম যোগ দেন।
বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান ডেভীড ওয়েপ্রীন, সিটি কাউন্সিলম্যান জিম জিনারো, সিটি কাউন্সিলওম্যান ইদ্রিয়ানা অ্যাডম, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিষ্ট্রিক্ট লীডার মিসেস এস্ট্রেঞ্জার, মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম এবং কুইন্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিষ্ট্রিক্ট এট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী। এছাড়াও আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি সেলিম খান ও জেনারেল সেক্রেটারী আমিন মেহেদী। সবশেষে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন নামিরা মেহেদী। যৌথভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুফাজ্জল হোসেন ও জামি কাজী।
সিনেটের মেজরীটি লীডার চাক শুমার বলেন, ক্যাপিটাল হীলের ৬ জানুয়ারীর ঘটনার পর মনে হয়েছে আমাকে মেজরীটি লীডার হতে হবে। ইমিগ্র্যান্টদের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ট্রাম্প মুসলিম ব্যান্ড আইন করেছিলেন। আর এখন আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির জন্য সুখবর হচ্ছে যে এই সপ্তাহে সিনেটে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো একজন মুসলিম ফেডারেল জজ নিয়োগ হয়েছেন। তিনি বলেন, মুসলিম কমিনিটির জন্য হালাল ফুড, কিউনি-তে মুসলিম ট্রাষ্ট্রি, স্টুডেন্ট লোন আর নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি সেন্টার সহ কমিউনিটির স্বার্থে কাজ করবো। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে চাক শুমার বলেন, এব্যাপারে কিছু করা দরকার এবং আমরা করবো।
অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের কয়েকজন বাংলাদেশীকে সিনেটরের অফিস থেকে সাইটেশন প্রদান করা হয়। এরা হলেন- জুরিস ড. আলমা আলী, ডা. আফসানা রহমান, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নামিরা মেহেদী। এছাড়াও আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটি ইনক-কে সাইটেশন প্রদান করা হয়। সিনেটর চাক শুমার নিজ হাতে সাইটেশনগুলো তুলে দেন। কমিউনিটির সিলেকটেড বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ‘চুপ করতে বলবেন চাক শুমার’ এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘আচরণগত কালচার’ দেখে সিনেটর চাক শুমার তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে ‘চুপ’ শব্দ উচ্চারণ করেন। যা অনুষ্ঠান আয়োজক সহ অনেকের জন্য ছিলো বিব্রতকর। অবশ্য চাক শুমার তার বক্তব্যে বাংলায় ‘সাহায্য করবো’ বলে তার পক্ষ থেকে বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য কাজ করার আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে এই কুইন্সের জ্যামাইকায় নিউইয়র্কে আয়োজিত বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রথম অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেখানেও প্রবাসী বাংলাদেশীদের আচরণে ‘চুপ’ শব্দটি প্রয়োগ করেছিলেন। যা তখনও বিব্রত করেছিলো।