নিউজার্সী, যুক্তরাষ্ট্র : বাংলাদেশের গণ সঙ্গীত জগতের উজ্জল নক্ষত্র ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ফকির আলমগীরের আকস্মিক মৃত্যুতে আমি যারপর নাই মর্মাহত। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। আমার স্মৃতিপটে ফকির আলমগীর চির জাগরুক থাকবে। তৎকালীন পাকিস্তানে আইয়ুব বিরোধী সংগ্রাম, ১৯৬৯ এর ছাত্রদের ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনের মাঠ পর্যায়ের কর্মী হিসেবে এবং উত্তাল গণ আন্দোলন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও সুমহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গাওয়া গণ সঙ্গীত এবং বিশেষ করে স্বাধীনত্তোর বাংলাদেশে ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে থেকে ও ‘ঋষিজ’ গঠন করে জনগণ নন্দিত শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেরও কন্ঠযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনত্তোর বাংলাদেশে আমি যখন বাংলাদেশ বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, ফকির আলমগীর ছিলো তখন ঢাকা শহর সংগঠনের সভাপতি।
পরবর্তীতে আমি প্রবাসী হলে ফোবানা সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে আমেরিকায় এলে একরাত্রি আমার নিউজার্সীর বাসাতেও থেকেছে। আমার ১৬ বছরের প্রয়াত মেয়ে আনিকার স্মরণে লেখা আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আনিকার জন্য কবিতা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গানও পরিবেশন করে। নিউইয়র্কে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অনুষ্ঠান ও ২০০৫ সনে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির উদ্যোগে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৫ লক্ষাধিক লোকের যে লং মার্চ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় তা সফল করতেও সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সে সবই এখন স্মৃতি। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরম করুনাময় তাকে মাফ করে দিয়ে তাকে জান্নাতবাসী করুন। সেই সাথে আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। পরম করুনাময় আল্লাহতায়ালা এই করোনা সময়ে আমাদেরও সহায় হউন।
আতিকুর রহমান সালু
কবি, লেখক, পরিবেশবীদ ও সোস্যাল অ্যাক্টিভিষ্ট
নিউজার্সী, যুক্তরাষ্ট্র