নিউইয়র্ক (ইউএনএ): চাঙ্গা হয়ে উঠছে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন অব এনওয়াই (জেবিবিএ)। শাহ নেওয়াজ ও মাহবুবুর রহমান টুকু নেতৃত্বাধীন জেবিবিএ’র একাংশ দীর্ঘ দিন পর বার্ষিক সাধারণ সভা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ জেবিবিএ গঠনের লক্ষ্যে তারা উপদেষ্টা পরিষদের কাছে ক্ষতা হস্তান্তর করেছে।
সিটির জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি সেন্টারে গত ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার জেবিবিএ’র এই অংশের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি শাহ নেওয়াজ এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুকু। সভা মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান, মাকসুদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, জাকির হোসেন এবং মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন উপবিষ্ট ছিলেন। সভায় অর্ধ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সভার কার্যক্রম চলে। খবর ইউএনএ’র।
সভার শুরুতেই মহামারী করোনা সহ এবং বিভিন্ন কারণে মৃত্যুবরণকারী ব্যবসায়ীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। এরপর সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পাঠের পর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সদস্যরা অংশ নেন। সভায় মাহববুুর রহমান, আলাউদ্দিন বুলু, গিয়াস আহমেদ, আসিফ বারী টুটুল, নাজমুল আহসান, তারেক হাসান খান, মনির হাসান, মো: হাসান জিলানী, এম লিয়াকত আলী, সোলায়মান আলী প্রমুখ অংশ নেন। তারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা এবং সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরার পাশাপাশি জেবিবিএ’র ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় বর্তমান কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় জেবিবিএ’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা এবং সংগঠনের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্যে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, বিবদমান দুটি ‘জেবিবিএ’র নামে সংগঠনের কর্মকা- পরিচালনা করা নিয়ে বিব্রত সাধারণ সদস্যরা সভায় আপত্তি উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন/নেগোশিয়েট কমিটিও গঠন করেন। এ কমিটির সদস্যরা হলেন- আলাউদ্দিন বুলু, নাজমুল আহসান, গিয়াস আহমেদ, আব্দুর নূর বড় ভূইয়া এবং আসিফ বারী টুটুল। প্রয়োজনে এই কমিটি উভয় গ্রুপের সাথে কথা বলে ঐক্যবদ্ধ জেবিবিএ গঠনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারবে বা নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। জেবিবিএ’র গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন কমিমণ গঠনের পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিরা জানান।
পরবর্তীতে সভাপতি শাহ নেওয়াজ সাধারণ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি বলেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এই ব্যবসায়িক এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং মাদক সেবি ও বিক্রেতাদের আইনের মাধ্যমে প্রতিহত করতে। প্রায় দুই বছর যাবত প্যান্ডামিকের কারণে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বিভিন্ন প্রস্তাবনা গ্রহণের পরিকল্পনা থাকলেও আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনে ঐক্যের মাধ্যমে জেবিবিএ-কে আরো শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে শাহ নেওয়াজ সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদ ও নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় শক্তিশালী কার্যকরী পরিষদ গঠনের প্রস্তাব দেন। সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুকু তার রিপোর্টে বলেন, বিগত ২২ বছর যাবৎ জেবিবিএ সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। আমরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখার চেষ্টা করেছি, তবে করোনার কারণে এবং নিজেদের সীমাবদ্ধতার জন্যে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। আশা করি ভবিষ্যত নতুন কমিটি অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে জেবিবিএ-কে শক্তিশালী করবে।