নিউইয়র্ক (ইউএনএ): কুমিল্লার ঘটনা পরবর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রবাসী বাংলাদেশী সহ দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিকল্প নেই তাই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। খবর ইউএনএ’র।
রোববার (২৩ অক্টোবর) প্রেরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার খবরে আমরা যারপর নাই উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এই করোনা সময়েও আমরা যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন হঠাৎ শান্তিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে, কেন এই সহিংসতা? অবশ্যই এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের খুঁজে পেতে হবে। আমরা দেশবাসীকে যেকোন উস্কানীর মুখে কোন পাতানো ফাঁদে যেন পা না দিই, সেই সম্পর্কেও সদা সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বহু রক্ত, ঘাম, ইজ্জত ও আতœত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের ললাটে এই বর্বর সহিংসতা এঁকে দিয়েছে কলংকের কালিমা। এযেন আমাদের সেই চিরচেনা বাংলাদেশ নয়, যেখানে হাজার বছর ধরে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ও সকল ধর্মমতের মানুষ মিলে-মিশে বাস করে আসছি এবং যা ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। এই ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে স্বাধীনতা, শান্তি ও সভ্যতার চির শত্রু। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কোন বিকল্প নেই বিধায়, দেশ ও মানবতা বিরোধী এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সকল শুভশক্তি তথা জনগণ ও গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
আসুন দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, পেশা ও শ্রেনী নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পতাকা উর্দ্বে তুলে ধরি।
উল্লেখিত বিবৃতিতে সম্মতি প্রদানকারীরা হলেন: কবি, লেখক, পরিবেশবিদ ও সোস্যাল অ্যাক্টিভিষ্ট, আতিকুর রহমান সালু (নিউজার্সী, যুক্তরাষ্ট্র), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ (কানাডা), ফার্মাসিস্ট, লেখক ও পরিবেশবিদ সৈয়দ টিপু সুলতান (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র), সিডনী ইউনিভারসিটি’র অধ্যাপক ও জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী (অস্ট্রেলিয়া), সাউথ ক্যারোলিনা ষ্টেট ইউনিভারসিটির অধ্যাপক, ড. শফিকুর রহমান (যুক্তরাষ্ট্র), সাপ্তাহিক আজকাল-এর প্রধান সম্পাদক মনজুর আহমদ (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র), লেখক ও বাংলাদেশ ফেডালের সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর সৈয়দ শফিক উদ্দিন আহমেদ (কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র), কলামিষ্ট, লেখক ও সাংবাদিক গাজীউল হাসান খান (লন্ডন), বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশী-আমেরিকান ডেন্টিস্ট এসোসিয়েশন ডা. এম এ বিল্লাহ (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র), সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও লেখক মঈনুদ্দীন নাসের (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র), সাবেক এমপি হারুন-অর রশীদ (বাংলাদেশ), ফার্মাসিষ্ট, ছড়াকার ও কবি, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল হক (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র), অনলাইন পত্রিকা গ্রীন ওয়াচ সম্পাদক, লেখক ও নদী-পানি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল মজুমদার (বাংলাদেশ) এবং সোস্যাল অ্যাক্টিভিষ্ট কাজী ফৌজিয়া (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র)।