নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক সিটির নির্বচনে এরিক আদমস (৬১) বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। তিনি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও স্থলাভিক্ত হচ্ছেন। নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে তিনি হবেন দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র। তিনি ব্রুকলীন বরোর নির্বাচিত প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব পালন করছিলেন। অপরদিকে সিটি কাউন্সিলে শাহানা হানিফ এই প্রথম একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান ও প্রথম মুসলমান নারী হিসেবে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়লেন। অপরদিকে কুইন্স কাউন্টির জাজ পদে অপর বাংলাদেশী-আমেরিকান সোমা সাঈদ প্রথমবারের মতো জয়ী হয়ে ইতিহাসের অংশ হলেন। মঙ্গলবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনের কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ (কেনসিংটন, পার্ক স্লোপ এবং সেন্ট্রাল ব্রুকলীন) থেকে শাহানা হানিফ জয়ী হন। তার নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক স্প্যানিশ ও জুইশ কমিউনিটির বসবাস। খবর ইউএনএ’র। বোর্ড অব ইলেকশন অফিস সূত্রে প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে, নির্বাচনে এরিক আদমস ৬,৭৬,৪৮১ ভোট অর্থাৎ শতকরা ৬৬ দশমিক ৫ ভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রিপাবলিকান পার্টিও প্রার্থী কুর্টিস স্লীওয়া পেয়েছেন ২,৯৩,১২৭ ভোট অর্থাৎ শতকরা ২৮ দশমিক ৮ ভোট। নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সিটি প্রশাসনের অন্য দুই গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে কম্পট্রোলার পদে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী ব্যাড ল্যান্ডার এবং পাবলিক এডভোকেট পদে একই দলের প্রার্থী জুমানী এবং উইলিয়ামস জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে শাহানা হানিফ মোট ভোটের ৮৯% পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির উইনকোফ পেয়েছেন মাত্র ৮% ভোট। চট্টগ্রামের সন্তান, চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা মোহাম্মদ হানিফের জ্যেষ্ঠ কন্যা শাহানা হানিফ।
কুইন্স কাউন্টির জাজ পদে সোমা সাঈদও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। সিটির জ্যামাইকায় বসবাসকারী টাঙ্গাইলের বিল্লাহ পরিবারের অন্যতম সদস্য সোমা ব্যক্তিগত জীবনে পেশায় এটর্নী। তার দেশের বাড়ী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর। তার বাবা মরহুম আফতাব সৈয়দ বাংলাদেশ সরকারের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনএ) ছিলেন। এদিকে, শাহানা হানিফ ও সোমা সাঈদের বিজয়ের সংবাদে উল্লাস করেছেন প্রবাসীরা। দলমত-নির্বিশেষে সকলেই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাহানা-সোমাকে। বিশেষ করে শাহানাকে নিয়ে ব্রুকলীনে আর সোমাকে নিয়ে জ্যামাইকায় বিজয় উৎসব হয়েছে। এই উৎসবে মিষ্টি খাওয়ার ধুম লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে আরো দুই বাংলাদেশী অংশ নেন। কুইন্সের কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট-২৪ থেকে কনারভেটিভ পার্টি থেকে মুজিব-উর রহমান ও কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট-২৫ থেকে রিপাবলিকান পার্টি থেকে শাহ শহীদুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।