নিউইয়র্ক (ইউএনএ): সাংবাদিক ফরিদ আলমের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশের কাছে দায়ের করা মামলায় জামিন নিলেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়া। গত ৫ নভেম্বর শুক্রবার তিনি স্থানীয় ১০৮ পুলিশ প্রিসিঙ্কটে উপস্থিত হয়ে জামিন নেন বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে। খবর ইউএনএ’র।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংভাদিক ফরিদ আলমের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। গত ২২ সেপ্টেম্বর সিটির উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি বক্তব্য রাখার পর প্রশ্নত্তোর পর্বের সময় সাংবাদিক ফরিদ আলমের এক প্রশ্নকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা ফরিদ আলমের উপর হামলা করে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখ ফরিদ আলম রক্ষা পান এবং সংবাদ সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়। পরবর্তীতে ফরিদ আলম সিটি পুালশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, ফরিদ আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত চলছে এবং যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়াকে গত ৫ নভেম্বর শুক্রবার ১০৮ পুলিশ প্রিসেঙ্কটে ডাকা হয়। ঐদিন বেলা ১২টার দিকে সেবুল মিয়া পুলিশ প্রিসেঙ্কটে উপস্থিত হন এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান শেষে জামিন নিয়ে বাসায় ফিরেন বলে জানা যায়। আগামী ২৪ নভেম্বর বুধবার কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে সেবুল মিয়াকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানান।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক ফরিদ আলমের উপর হামলার প্রতিবাদে নিউইয়র্কের সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সম্পাদকগণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এবং ঘটনার জন্য প্রকাশে ক্ষমা প্রার্থনা সহ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়। এবং এই দাবী না মানা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল প্রকার সংবাদ/অনুষ্ঠান বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশী সাংবাদিকরা। ফলে সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের সংবাদ/অনুষ্ঠান বর্জন অব্যাহত রয়েছে।