নিউইয়র্ক (ইউএনএ) : বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের ৪৬তম দিবস উদযাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষ্যে ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘ ভবনের সামনে আনন্দ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় সেই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের শীর্ষ সম্মেলনে বাংলায় ভাষণ দেন বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। খবর ইউএনএ’র। আনন্দ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।
সমাবেশে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। এজন্য যে সকল দেশ সহযোগিতা করেছেন সেইসব দেশের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। আজ বঙ্গবন্ধুকে বারবার মনে পড়ছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঢাকায় জাতিসংঘের রিলিফ অপারেশনস (ইউএনআরডি) তৈরি করে। যেটির পরিচালনায় ছিলেন রবার্ট জ্যাকসন। যা বাংলাদেশে জাতিসংঘের রিলিফ অপারেশনগুলোতে উন্নীত হয়েছিল (ইউএনআরবি)। অপারেশনটি ১৯৭৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইম, ১৯৭৩ সালের ৯ জানুয়ারী বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। জাতিসংঘ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরে চালনা বন্দরের (বর্তমান মংলা বন্দর) পুনর্গঠনের জন্য সহায়তা প্রদান করে। জাতিসংঘ ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানে আটক হওয়া বাঙালীদের বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করতে সহায়তা করেছিল এবং ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ অধিবেশনে বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন।
ড. সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ তাঁর নেতৃত্বেই প্রবাসে কাজ করছে। আমরা যেকোন দূর্যোগে শেখ হাসিনার পাশে আছি, থাকবো। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে কোন মীর জাফরের জায়গা হবে না। যারা আওয়ামী লীগ করবেন তাদেরকে সত্যিকারের মুজিব সৈনিক হতে হবে। আনন্দ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এসময় উল্লেযোগ্য নেতৃবৃন্দর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সামছদ্দিন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া এনাম, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ সোলেমান আলী, কার্যকরী সদস্য সাহানারা রহমান, কানেকটিকাট ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা শাহ সেলিম, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন রাকিব, নিউইয়র্ক ষ্টেট স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন, হুমায়ুন কবির, সহ সহিদুল ইসলাম, সদর উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নন, রফিকুল ইসলাম, মুশফিক সালাহিন, আসাদ উজজামান, আব্দুল বাছিত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।