নিউইয়র্ক (ইউএনএ): পবিত্র রমজান সমাগত। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ এপ্রিল শনিবার থেকে নিউইয়র্ক সহ উত্তর আমেরিকায় রোজা শুরু হওয়ার কথা। ফলে মুসলিম কমিউনিটিতে চলছে রজমানের প্রস্তুতি। বিশেষ করে বিভিন্ন মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে রমাজান ক্যালেন্ডর, নিয়োগ করা হচ্ছে খতম তারাবীর নামাজের জন্য হাফেজ, চলছে তারাবীর নামাজ সহ ইফতার আয়োজনের প্রস্তুতি। তবে এসব আয়োজনে মহামারী করোনা পরিস্থিতি সামনে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রোসারী স্টোরগুলোতে রমজান মাসের প্রতিদিনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী মজুত করা হচ্ছে। খবর ইউএনএ’র।
নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, আল আলাফা ইসলামিক সেন্টার, হাজী ক্যাম্প মসজিদ, ওজনপার্কের আল আমান জামে মসজিদ, ব্রুকলীনের বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, বায়তুল জান্নাহ জামে মসজিদ, এস্টোরিয়ার আল আমীন মসজিদ, শাহজালাল মসজিদ, ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার জামে মসজিদ, ম্যানহাটানের মদিনা মসজিদ প্রভৃতি মসজিদ সূত্রে জানা গেছে এসকল মসজিদে রমজানের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটস, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস, ওজনপার্ক প্রভৃতি এলাকার গ্রোসারী স্টোগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও ‘রাশিয়া-ইউক্রেন’ যুদ্ধের ফলে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষ করে পবিত্র রমজানের আগে ইফতারী সামগ্রীর বিভিন্ন আইটেমের মুল্য বেড়ে যাওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। একাধিক ক্রেতা জানান, চাল-ডাল, তেল, পিয়াজ ছাড়াও খেজুর সহ ইফতারী সামগ্রীর মুল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রোসারী ও সুপার মার্কেটগুলোর মালিক সহ বাংলাদেশী আমদানীকারগণ বলেন, মূলত: করোনা পরিস্থির কারনে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য সামগ্রী আমদানী কমে যাওয়ায় অনেক জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া যেসকল দ্রব্য আমদাণী হচ্ছে তাতে ব্যয়ও বেড়েছে।
পাশাপাশি হোটেল রেস্তোরাগুলোতেও চলছে রমজানের ইফতার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রেষ্টরেন্ট আর পার্টি হাউজগুলো ইফতার পার্টির জন্য বুকিং হয়ে গেছে বলে সংশ্লিস্ট জানিয়েছেন। বিভন্ন মসজদি আর সংগঠনের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হচ্ছে সেহরী-ইফতারীর ক্যালেন্ডার।