জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণের দিনটি স্মরণে যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগের ভার্চুয়াল আলোচনা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু’র নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): জাতিসংঘে বাংলাদেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম বাংলায় ভাষণের ঐতিহাসিক দিনটি স্মরণে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের যেমন স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, তেমনী তাঁর সুযোগ্য কন্যা জাতিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়ে বাঙালী জাতিকে আধুনিক বিশ্বের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। যার ফলে মহামারী করোনাভাইরা পরিস্থিতিতেও আমরা ‘ভার্চুয়াল আলোচনা’য় অংশ নিতে পারছি। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি আর সমৃদ্ধি আরো এগিয়ে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১১টায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে প্রথম বাংলায় ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। খবর ইউএনএ’র।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। সভায় বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণের অংশ বিশেষ সম্প্রচার এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ডের স্থির চিত্র প্রদর্শণ এবং এবং সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। সভার শুরুতে ড.সিদ্দিকুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে প্রদত্ত প্রথম বাংলায় ঐতিহাসিক ভাষণের উপর সংক্ষিপ্ত স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আজকের এই দিনে জাতিসংঘের বিশ্বমঞ্চে বাংলাভাষাকে প্রথম তুলে ধরেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সদ্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতিসংঘে তিনি প্রথম বাঙালী হিসেবে সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দেন। তাঁর ভাষণের মধ্যদিয়ে বিশ্বমঞ্চে রচিত হয় বাঙালী জাতির আরেকটি বীরত্বের ইতিহাস। প্রসঙ্গত তিনি করেনাভাইরাস মহামারীর এই কঠিন সময়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের যার যার অবস্থান থেকে মানবতার সেবাং এগিয়ে আসার জন্য সকাল নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই করোনা আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এম.পি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে প্রথম বাংলায় ভাষণের ঐতিহাসিক বক্তব্যের কথা তুলে ধরে বলেন, তাঁর ভাষণ ছিলো ৩৩ মিনিটের। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিপিড়িত-নির্যাতিত মানুষের নেতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে তার ভাষণে ‘কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, বন্ধুত্ব’ নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নীতি-ই অনুসরণ করে বাংলাদেশ-কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম বাংলায় ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটির উপর গণভবনে ভার্চুয়াল আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে স্মরণ করেছেন।

কেননা, করোনা ভাইরাসের কারনে এবার জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধান ভার্চুয়ালে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। তিনি প্রত্যাশা করেন করোনা পরিস্থিতির সঙ্কট কেটে যাবে আবার আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবো এবং দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবো। ড. গোলাপ তার বক্তব্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার প্রেক্ষপট, বাংলা ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫-এর ১৫ আগষ্ট ও ৩ নভেম্বরের নির্মম হত্যাকান্ড, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর প্রসঙ্গও তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ আর আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। দেশের সকল ঐতিহাসিক কর্মকান্ডের সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত। ড. গোলাপ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে বলেন, আজ প্রমাণিত হয়েছে যে, জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত শেখ মুজিব অনেক শক্তিশালী। দেশের ঘরে ঘরে আজ মুজিব সৈনিক। জননেত্রীশেথ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে করোনার সময়েও আমরা ভালো আছি, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার ম্যাজিক হচ্ছে জনগণের প্রতি তাঁর ভালবাসা। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, সহ সভাপতি আক্তার হোসেন, মাহবুবুর রহমান, সামছুদ্দীন আজাদ, লুৎফুল কবির ও ডা. মোহাম্মদ আলী মানিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী ও আইরীন পারভীন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য যথাক্রমে দেওয়ান মহিউদ্দিন, আব্দুল হাসিব মামুন, হাজী এনাম, জালাল উদ্দিন রুমি,

আশরাফুজজামান, দেওয়ান বজলু, শিরিন আক্তার দিবা, মোহাম্মদ সোলায়মান আলী, আব্দুল মালেক এবং কার্যকরী সদস্য সাহানারা রহমান, শরাফ সরকার, নুরুল আফসার সেন্টু, শামছুল আবেদীন, আলী হোসেন গজনবী, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ নবী বাকি, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী সহ নিউজার্সী, কানেকটিকাট, পেনসেলভেনিয়া ষ্টেট আওয়ামী লীগ, ফিলাডেলফিয়া ট্রাই কাউন্টি আওয়ামী লীগ, নিউ ইংল্যান্ড, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, মিশিগান ষ্টেট ও মিশিগান মাহানগর আওয়ামী লীগ, ক্যালোফোনিয়া, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা ষ্টেট, সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ, টেম্পা সিটি আওয়ামী লীগ, বাফেলো সিটি আওয়ামী লীগ, সাউথ জার্সী মেট্রো আওয়ামী লীগ এবং কানাডা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আতিকুল ইসলাম, আবুল কাশেম (চেয়ারম্যান), এডভোকেট মুর্শেদ জামান, শাখাওয়াত বিশ্বাস, কফিল চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকলীগের সভাপতি আজিজুল হক খোকন, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজজামান সরদার, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবদীন জয় ও সাবেক ও সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল আলোচনা সভার কারিগরি সহযোগিতায় ছিলেন সংগঠনের প্রবাসী কল্যান সম্পাদক মোহাম্মদ সোলেমান আলী।

ইউএনএ নিউইয়র্কনিউইয়র্কনিউইয়র্ক বাংলাদেশী কমিউনিটিযুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
Comments (0)
Add Comment