নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির কমিউনিটির পরিচিত মুখ, সমাজসেবী, বিশিষ্ট লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদকে বিশেষ সম্মাননা জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন নর্থ আমেরিকা। তিনি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস ইনক এবং আলেগ্রা হোম কেয়ার ইনক-এর কর্ণধার। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসে কমিউনিটিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস এবং আলেগ্রা হোম কেয়ার ইনক। খবর ইউএনএ’র।
সিটির জ্যাকসন হাইটসের একটি মিলনায়তন শুক্রবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় আয়োজিত ‘বর্ষার গান ও কবিতা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তার কর্মকান্ডের জন্য এই সম্মাননা জানানো হয়। এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদ আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন হাসান মাহমুদ।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতে করেন মোহাম্মদ আব্দুস সাদিক। অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত আবু জাফর মাহমুদ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহাঙ্গীর শাহ নেওয়াজ ডিকেন্স, উপদেষ্টা অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সামসুদ্দীন আজাদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু গোপ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত অতিথির হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাণনা তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ফাহমিদা জিগর জাহান ও সৈয়দা পারভীন পলি কবিতা আবৃত্তি এবং পলি, বাধন শাহরিয়ার, হাসান মাহমুদ, শিশু শিল্পী প্রমিতি প্রমুখ সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সংবর্ধিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদকে একজন সাহসী, হাসিখুশি, দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে বলেন, তিনি জীবনভর দেশের জন্যই কাজ করেছেন। রাজনীতি থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশস্বাধীন করেছেন। এখন প্রবাসে এসেও কমিউনিটির সেবার পাশপাশি দেশের জন্য কাজ করে চলেছেন। সত্যিকারার্থে তিনি খাঁদি দেশ প্রেমিক মানুষ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ সংক্ষেপে নানান স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমি সংবর্ধনা পাওয়ার যোগ্য নই। আমার দায়িত্ব শেষ হয়নি। দেশের জন্য এখনো অনেক কিছু করার রয়েছে। সবাইকে নিয়ে আমি আমার বাকি কাজ করতে চাই এবং এজন্য সকল মহলের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে আমরা দেশকে কি দিয়েছি তার মূল্যায়ন হওয়া দরকার। তিনি বলেন, আমি যেখানেই যেভাবেই থাকি আমার কাছে সবার আগে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ-এর স্বার্থ বড়। তিনি সবাইকে মাতৃভূমির জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।