নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন জেমিনি ও দ্য নিউইয়র্ক ব্রাইড’র কমিউনিটি ডায়ালগে বক্তারা বলেছেন, শুধু নিউইয়র্ক নয়, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী অধ্যুষিত বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশী-আমেরিকানরা আমেরিকান মূলধারার রাজনীতিতে ক্রমে ক্রমে এগিয়ে চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে রাজনীতিতে অংশগ্রহন। ইতিমধ্যেই একাধিক বাংলাদেশী-আমেরিকান বিভিন্ন রাজ্যে সিনেটর ও সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির বিভিন্ন পদেও আসন অলংকিত করেছেন। তাই মূলধারার রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান করতে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। এজন্য বক্তারা বিশেষ করে নিউইয়র্ক রাজ্য ও সিটির আগামী নির্বাচনে একই আসনে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের একক প্রার্থী মনোনয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সিটির জ্যামাইকার ইকরা পার্টি হলে গত ২১ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল ও কমিউনিটি ডায়লগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, এনওয়াই ইন্স্যুরেন্স ও গোল্ডেন হোম কেয়ার সার্ভিসেস-এর কর্ণধার এবং কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার শাহ নেওয়াজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মূলধারার রাজনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পথিকৃৎ ডেমোক্র্যাট মোর্শেদ আলম। খবর ইউএনএ’র।
ম্যাগাজিন জেমিনি ও দ্য নিউইয়র্ক ব্রাইড’র সম্পাদক ও প্রকাশক বেলাল আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে কমিউনিটিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২২জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘উত্তরীয়’ পড়ানোর মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। জনাব শাহ নেওয়াজ ও মোর্শেদ আলম তাদেরকে উত্তরীয় পড়ান। পরবর্তীতে সম্মানিতরা সংক্ষেপে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিববেশন করেন। বেলাল আহমেদের সাথে যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন কামরুজ্জামান বাবু।
অনুষ্ঠানে মূলধারার রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয় চার জন কমিউনিটি বোর্ড মেম্বারকে তারা হলেন: মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, আহসান হাবীব, আহনাফ আলম।
কমিউনিটিতে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য যাদেরকে সম্মানিত করা হয় তারা হলেন: সালেম সুলেরী, এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাহাব উদ্দীন সাগর ও হাসানুজ্জামান সাকী। কমিউনটিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে যাদেরকে সম্মানিত করা হয় তারা হলেন: মোর্শেদ আলম ছদরুন নূর, মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, রেজাউল করিম চৌধুরী, মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম সনি, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আযম, ফিরোজ আহমেদ, মাকসুদুল হক চৌধুরী, লায়ন আহাসান হাবীব, মইনুল আলম, আবু খন্দকার মুরাদ, হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী ও সৈয়দ রাব্বী।
কমিউনটিতে শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্মানিত করা হয় খানস টিউটোরিয়াল-এর চেয়ারপার্সন নাঈমা খানকে।
সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী রানো নেওয়াজ, চন্দন চৌধুরী, লিমন চৌধুরী, মোস্তফা অনিক রাজ ও মাসুদ রানা। সাউন্ড সিস্টেমে ছিলেন ফিরোজ আলম।