নিউইয়র্ক (ইউএনএ): ‘জালালাবাদ ভবন’ ক্রয়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতায় জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সহ সভাপতি শাহীন কামালী ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম আহুত এসোসিয়েশনের পাল্টা জরুরী সাধারণ সভায় সভাপতি বদরুল হোসেন খান ও সহ সাধারণ সম্পাদক রুকন হাকিম-কে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি শাহীন কামালী কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মইনুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংগঠন পরিচালনা করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় উপস্থিত জালালাবাদবাসীরা হাত তুলে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান। সভায় বক্তারা ক্রয়কৃত ‘জালালাবাদ ভবন’ রক্ষার পাশাপাশি উদ্ভুত সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব করেন। উল্লেখ্য, গত ১১ জুন রোববার সভাপতি বদরুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় ইতিপূর্বে ইসি কমিটিতে বহিষ্কার করা সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামকে চুড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শাহীন-মইনুলের নেতৃত্বে জরুরী সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। খবর ইউএনএ’র।
নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে রোববার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় আয়োজিত উল্লেখিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি শাহীন কামালী এবং সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মওলানা ছয়ফুল আলম সিদ্দিকী। এরপর এসোসিয়েনের যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভামঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন এসোসিয়েশনের সাবেক ট্রাষ্টি আব্দুল হাসিব, সাবেক সভাপতি সৈয়দ শওকত আলী, এম এ কাইয়ুম ও ওয়াহিদুর রহমান মুক্তা, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আজিজুর রহমান সাবু ও এমাদ চৌধুরী, এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক হেলিম উদ্দিন আহমদ, ডা. জুন্নন চৌধুরী ও কাতার জালালাবাদ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
সভার প্রথমেই জরুরী সাধারণ সভা আহ্বানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সভার সভাপতি শহীন কামালী। এরপর সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন মইনুল ইসলাম। তিনি তার রিপোর্টে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরবর্তীতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা শাহাবুদ্দীন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, পংকি মিয়া, রিয়াজ উদ্দিন কামরান, ইনিঞ্জনিয়ার সৈয়দ ফজলুর রহমান, সৈয়দ জুবায়ের আলী, শাহীন আজমল, মামুন আহমেদ, আতাউল গণি আসাদ, এবাদ চৌধুরী, দরুদ মিয়া রনেল, হুমায়ুন চৌধুরী, মোহাম্মদ মহসিন সেলিম, এম আলাউদ্দিন, মোশাহেদ চৌধুরী, এম করীম চৌধুরী, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা ১১ জুনের সাধারণ সভা ও সভাপতি বদরুল হোসেন খানের কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বলেন, ঐ সভায় সিকিউরিটি দিয়ে যেভাবে জালালাবাদবাসীকে নাজেহাল করা হয়েছে তার অত্যন্ত দু:খজনক, নিন্দনীয় এবং সভাপতি বদরুল হোসেন খান সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন ও গঠনতন্ত্র লংঘন করেছেন। বক্তারা বলেন, ‘জালালাবাদ ভবন’ সময়ের একমাত্র দাবী। এজন্য সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। বক্তারা ক্রয়কৃত ভবন রক্ষার ব্যাপারে এক্যমত পোষন করেন এবং আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভুত সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানান।
সভার শেষ পর্যায়ে শাহীন কামালী নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করা, বিভিন্ন অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র লংঘনের অভিযোগ সহ ৮দফা অভিযোগে সভাপতি বদরুল হোসেন খান ও সহ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক) রুকন হাকিম-কে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব করলে সভায় উপস্থিত সকলে হাত তুলে তা সমর্থন করেন। এই সিদ্ধান্ত ২৫ জুন থেকে কার্যকর হবে। এরপর মইনুল ইসলামের প্রস্তাবে শাহীন কামালীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদানের প্রস্তাব করলে এই সিদ্ধান্তও উপস্থিত সকলে হাত তুলে তা সমর্থন করেন।
আরো উল্লেখ্য, সভায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী জালালাবাদবাসী উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও দু’জন সিকিউটির উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়।