সন্তানকে করোনাভাইরাস থেকে দুরে রাখতে যা করবেন ।

করেনা থেকে সন্তানকে দুরে রাখতে কি করবেন ।

বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা মহামারি চলছে । এ মহামারি থেকে আপনার প্রিয় সন্তানকে কিভাবে রক্ষা করবেন তা জেনে রাখা প্রয়োজন । করোনা মহামারিতে অবশ্যই আপনার সন্তানের প্রতি বিশেষ যত্ন হওয়া প্রয়োজন । বাড়িতে শিশু থাকলে তার জন্য সব সময়ই বাড়তি চিন্তা কাজ করে মা-বাবা বা অভিভাবকের। কারণ শিশুরা নিজের যত্ন নিজে নিতে পারে না। কী করলে সুস্থ থাকা যায়, কী করলে অসুস্থ হওয়ার ভয় থাকে, এসবও তারা বোঝে না। বড়দের সঙ্গে তাদেরও এখন বাড়িতে বন্দি থাকতে হচ্ছে। কিন্তু দুরন্ত শৈশব কেবল বাইরে বের হতে চায়। বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করতে চায়।

এদিকে আপনার সন্তানকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না বলে পড়াশোনাও করতে হচ্ছে কম। কিন্তু বাড়তি পাওয়া স্বাধীনতাটুকু শিশুরা কাজে লাগাতে পারছে না। তাই তারা আরও বেশি অস্থির হয়ে পড়েছে। তাদের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে মা-বাবাও বকা দিচ্ছেন হয়তো। কিন্তু সন্তানকে বোঝানো এবং সংক্রমণ থেকে দূরে রাখার দায়িত্ব আপনারই।

আপনি আপনার সন্তানের সংগে সময় বেশি বেশি কাটান । এখনকার বেশিরভাগ শিশুর ধৈর্য শক্তি অনেক কম। কারণ তারা না চাইতেই সব কিছু পেয়ে যায়। তাই যেকোনো জিনিসের জন্য অপেক্ষা করার বিষয়টি তারা ককনও মানতে চায় না। এই অবসরকে কাজে লাগিয়ে তাকে অপেক্ষা করতে শেখান । তার সঙ্গে খেলাধুলা করুণ গান শোনান।

কখনও অযথা আতঙ্কিত হবেন না। শিশু সারা বছরই কোনো না কোনো ভাইরাসের আক্রমণে ভোগে থাকে । ফলে তাদের ইমিউনিটিও বেশি হয়, দেখবেন তারা খুব তাড়াতাড়ি সেরেও ওঠে। যদি কোনো কারণে তার শরীর খারাপ হয়, তা হলে সাধারণ খাবার দিন।

শিশুকে মাছ, মাংস, ডিম, সবজি সবই খেতে দিন। কমলা বা মাল্টার রস দিতে পারেন, খেতে না চাইলে জোর করে খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। বাড়তি ভিটামিন খাওয়ালেই শিশু ভালো থাকবে, তেমনটাও কিন্তু নয়। স্বাভাবিক অ্যাকটিভ জীবন যাপন করুন তা হলেই হবে।

শিশুকে সামাজিক দূরত্ব আর হাত স্যানিটাইজ করার গুরুত্বটা বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে । মনে রাখবেন আপনার সন্তান স্কুলে যাক বা লকডাউন উঠে যাওয়ার পর কোনো আত্মীয়ের বাড়ি যাক, সামাজিক দূরত্ব কিন্তু মানতেই হবে। বড়রাও শিশুকে দেখেই আদর করতে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন না। শিশুর মুখে চুচু খাওয়া বা মুখের সাথে মুখ লাগানো থেকে বিরত থাকুন ।

কোনো ভাইরাস মানব দেহের কোষে প্রবেশ করতে হলে একটি রিসেপ্টরের গায়ে আটকাতে হয়, শিশুদের কোষের গায়ে এই রিসেপ্টরের সংখ্যা কম। তাই আপাতত শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের হার তত বেশি নয়। তাছাড়া এই ভাইরাসের আক্রমণ যখন শুরু হয়েছে, তখন বেশিরভাগ স্কুলেই ছুটি চলছিল এবং তরিঘরি করে সব স্কুল ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে । তাই এখনও মনে হচ্ছে শিশুরা ব্যাপারটা সামাল দিতে পারবে। তবুও সাবধানতা জরুরি। সন্তানের জ্বর,ঠান্ড,গলা ব্যাথা,কাঁশি হলে সাথে সাথে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন । টেলিভিশনে সরকারি প্রচারিত সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবেন ।

করোনা থেকে বাঁচাতে সন্তানের যত্নকরোনায় সন্তানের জন্য যা করবেনকরোনা থেকে সন্তানকে রক্ষা করতে কি করবেনকরোনাভাইরাসকরোনায় শিশুর চিকিৎসাকরোনায় শিশুর যত্ন
Comments (0)
Add Comment