ব্যক্তিগত এনট্রপি/
কাজী আতীক।
কানটা খানিক উঁচিয়ে, খানিক বাড়িয়ে শব্দের উৎস বুঝার চেষ্টা করি,
ব্যর্থ হয় অনুমান, আসলে বহুদিন বিশ্বের মেঘাসিটি পরিমণ্ডলে
বসবাসের কারণে রাতের গ্রামীণ কিংবা মফস্বল স্বদেশের স্বরূপ ভুলে
যেতে বসেছিলাম। যেমন আমার শুনা হয়না কতোকাল- দ্বৈরথ, ঝিঝি
পোকার ঐকতান, কুকুরের সমস্বরে ঘেউঘেউ ধ্বনি অথবা রাতজাগা
পাখিদের ডানা ঝাপটিয়ে উড়াউড়ি কোলাহল কিংবা রাতের নিশ্বাস
ঝিরঝির অবিরাম বাতাসের ফিসফিস কলরব।
বুঝতে চেষ্টা করি স্মৃতি রোমন্থনে- হাতড়াই যাপিত স্বদেশকাল, শৈশব,
কৈশোর, বয়ঃপ্রাপ্তির সন্ধিক্ষণ অতঃপর বেলা অবেলা আমার।
ঝোপঝাড়, পুকুর ঘাট জোনাক জ্বলা সন্ধ্যা কিংবা রাতের কুহক,
জানা অজানা মা ঠাকুমার ঝুলি থেকে কল্পলোকের শরীরী অশরীরী
দৃশ্য অদৃশ্য উপস্থিতি অনুভব।
বুকে কাঁপন জাগে যেনো, এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস উঠে আসে বুক পাঁজরের
গভীর থেকে, কোনো শঙ্কা ভয় কিংবা কোনো অস্থিরতা বোধ নয়, অন্তরে
আন্দোলিত হয় এমন কোনো গোপন ইচ্ছার মতো এক মিশ্র অনুভব
ভাবছি, এই যে এতোসব সুখকর স্মৃতিময় বিরল সম্ভার, এসবের অধিকার
ছেড়ে দিয়ে বিনিময়ে কি এমন রাজ রাজত্ব খুঁজে পেলাম।
এক সহজ সমীকরণ, প্রাক্কলন বিভ্রাট, হয়তো অমি বুঝতেই পারিনি
কখনো- আসলেই কি চাই আমার।
(কিশোরগঞ্জ, ৫ আগস্ট ‘২০২১)