ধান্দাবাজ ও ধান্দাবাজির বিরুদ্ধে অনেক কথা বিভিন্ন সময়ে বলেছি, লিখেছি। এ এক মারাত্মক সামাজিক-সাংষ্কৃতিক-অর্থনৈতিক ব্যাধি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ন্যায় ও সাম্য-ভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে ধান্দাবাজ-দুর্নীতিবাজদের মূলোৎপাটন জরুরি। আমি কবি নই- তবুও হঠাৎ মাথায় এলে নিম্নোক্তভাবে এ বিষয়ে বক্তব্য প্রকাশ করে ফেললাম!
–ধান্দাবাজের ইতিবৃত্ত
-কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
আমি এখন মস্ত বড় একজন মানুষ
ইংরেজি মিশিয়ে বাংলা বলি কি সুন্দর !
মোর নিজস্ব ভুলে আমি হয়েছি মেকি প্রবর
চোখ আমার রঙিন এখন, অর্থ-বিত্ত বেশুমার।
আমি যোগসাজস ও ধান্দাবাজিতে সিদ্ধহস্ত
কেউ বলে বড় লোক আমায়, কেউ বলে চতুর
কেউ বলে চাটুকার, কেউবা বলে ধুরন্দর
তবে একথা সবাই মানে প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে মোর।
হাত আমার বেজায় লম্বা, নখ শাঁখের করাত
ন্যায়-অন্যায় নেই মাথায়, শুধু আরো চাই আমার
রাষ্ট্রেীয় সম্পদ বা গরীবের গ্রাস হাতিয়ে নেই নির্বিচার
লোকে জানলে, ধরা পড়লেও মান-সম্মান যায়না আমার।
দেশে প্রাসাদ গড়ি, দামি গাড়ি চড়ি, দৌরাত্ম্য ঝাড়ি
বিদেশে পাচার করি হাতিয়ে নেয়া টাকা কাড়ি কাড়ি
তছনছ করে দিব আমি এদেশের সব সড়ক অগ্রযাত্রার
আমারে না করলে দমন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন হবেরে চুরমার।
৬ আগষ্ট ২০২০