সঙ্গীত ধর্ম,বর্ণ, স্থান-কাল-পাত্রের ঊর্ধ্বে। সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টির মধ্যেই সংগীত গড়াগড়ি খাচ্ছে। সংগীতের নেই কোন সীমারেখা ভৌগলিক ভাবে। সঙ্গীত আদিম চঞ্চল গতিময় ও বিকাশমান। সংগীত প্রসারিত দিগন্তের মতো,অসীম আকাশের মত। প্রতিটি দেশ এবং জাতি সভ্যতার ব্যতিক্রমহীন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হচ্ছে সংগীত। সংগীতের কোন ধর্ম নেই, সীমানা নেই। ধর্মীয় গোড়ামী দিয়ে সংগীতকে বেঁধে রাখার চেষ্টা, যুক্তিহীন ও বৃথা। তাই ধর্মীয় গোড়ামী দিয়ে সংগীতকে বেঁধে রাখা যায়না। মানবতাবাদ যে সংগীতে স্থান পায় সেই সংগীতই পারে মানুষে-মানুষে বিভেদ, সাম্প্রদায়িকতা, হানাহানি, ঘৃণা-বিদ্বেষ দূর করতে। মানবতাবাদই পারে অন্ধত্ব ঘুচিয়ে মানুষকে আলোকিত করতে, আধুনিক করতে; জীবনকে আনন্দময় করতে; সত্য ও সুন্দরকে বুঝতে। সেই বিশ্বাস ও ধারনা থেকেই বাংলা রক -ব্যান্ড সংগীতের উজ্বল নক্ষত্র ‘মিটুল হক’ প্রকাশ করেছেন তাঁর নতুন গান ”ঘুমিয়ে পড়োনা।” গান প্রসঙ্গে রকষ্টার ‘মিটুল’ বলেন; নতুন বছর বয়ে নিয়ে আসুক অফুরন্ত ভালোবাসা আর ভালোবাসা l ভালোবাসায় ভরে যাক পৃথিবী, মানবতায় ঘিরে থাক চারিপাশ l আমার ‘ঘুমিয়ে পোরোনা’ গান দিয়েই শুরু হোক আরেকটি নতুন উজ্জ্বল বছর l
ঘুমিয়ে পড়োনা ” গানটি বাংলা ভাষার সর্ব প্রথম কোন গান যেটা আমেরিকান অডিও লেবেল কোম্পানী ‘WINCHESTER RECORDS’ এ HOPE FOR HOMELESS’HEARTS’ এ প্রকাশিত হয়। মিটুল হকে’র গীতিকথা, সুর ও গায়কীতে নতুন বছরে গানটি প্রকাশ পেয়েছে শিল্পীর নিজস্ব অফিসিয়াল Youtube চ্যানেল MITSUI – সহ ফেসবুক ফ্যান পেজ Mitul এ, যা গান পিপাসু শ্রোতাগন Mitulnyc লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
— জাহিদ হাসান নিশান।