কবি-ম.ম.রবি ডাকুয়ার ভাষার দুটি কবিতা
কিছু প্রত্যাশার ভাষা
ম.ম.রবি ডাকুয়া
বছর বছর মানুষের কষ্টের ভাষা বড় হয়,
বলতে চাওয়া না বলা ভাষা জড়ো হয়।
চোখ ছলছল জ্বলজ্বল ভাষা,
জল হয়ে গড়িয়ে পড়া ভাষা।
বাঁচার জন্যে আর্তনাদের ভাষা,
সব একত্রিত চির অম্লান আশার ভাষা।
ভেসে যাওয়া চোখের জলের ভাষা,
সহস্র তৃষ্ণার কষ্টের অতলের ভাষা,
আয়েশে ভরা দুচোখে তির্য্ক বাঁকা কটাক্ষের ভাষা।
সোনা ঝরা অক্ষরে ভাষা,
পুরনো জং আর দেয়ালে নোনা ঝরা ভাষা,
দরিদ্র মানুষের নীরবতার ভাষা,
সব ভাষা লুকিয়ে রেখে নীরব কেবল কিছুই প্রত্যাশা।
লক্ষ কোটি প্রনের ভাষা ফিরিয়ে দিল রফিক, জব্বার,
তবু বিকৃত ভাষা স্বীকৃতি পায় বার বার।
ভাষার উচ্ছাসে
ম.ম.রবি ডাকুয়া
—————————
সারা পৃথিবীর মানচিত্রে সবশেষ
একটাই ভাষার যুদ্ধের দেশ,
কোটি প্রাণে ফিরিয়ে দিল যে ভাষার গানে,
রক্তের কালিতে ব্যথার তুলিতে
আমরাই লেখি ভাই হারা শতাব্দীর সে পংক্তির গান।
ভাষার আশ্বাসে ছড়িয়ে যাচ্ছে দীর্ঘশ্বাসে,
দিবস-রজনী যে ভাষায় সুর ছড়াতে জানি।
বইয়ের উচ্চারণের আগে ভাষা,
বাদামের ঠোঙা হয়ে যায়।
স্বীকৃত ভাষা তবু বিকৃত,
ফুসফুস যকৃতের মত ধুলো- ধোয়ায় হয় বিক্রিত।
অপেক্ষা সব সময় ফটকে, কিছু আসার বা পাবার,
অপেক্ষা তাই ছটফট করে বারবার।
অস্থিত্বের মাঝে গাড়ো হারানো বেদনা আরো,
পাবার ভাষা শুধুই চাওয়া,
ভাষা আছে যে পথে,
কত মনের ভাষা থাকে নেপথ্যে।
শিকড় থেকে অক্ষর তুলে
আবার বহ্নিশিখা মশাল জ্বেলে।
তবু ভাষা নিয়ে কত সংগ্রাম,
ভাষা পাবার উচ্ছাসে হাসে শহর-গ্রাম।