এই কোন স্বাধীনতা ?
ম.ম.রবি ডাকুয়া
উৎসবের ঘ্রান ছড়িয়ে গেছে,
শহর-নগর-গ্রামে জেগেছে উৎসুক প্রাণ।
বরেণ্য মানুষ থেকে শুরু করে মাঠ-ঘাট অরণ্য
জনতা আর জনসাধারণে ভরে লোকে লোকারণ্যে,
স্বাধীনতা খুঁজতে আসা কত মানুষের ঢল অজানা তা,
সবার চোখে ভরা জল,
ক্ষুধা হারা মানুষ বুঝবে কি দেখে
ব্যথা হারা মানুষ কি ব্যথা বোঝে ,
ভিক্ষা না পেয়ে কাঁদে ও যে।
এখনো পথে-দেয়ালে লেগে আছে মৃত্যু আর বারুদের ঘ্রান,
এই স্বাধীনতার জন্য ঝরেছিল কত প্রাণ।
জীবন যাত্রার মান নিম্ন মুখে ঠেলে দিয়ে,
আশীর্বাদ করো হে মোরে সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে,
কে কার পানে ভিক্ষা মাগে সবাই শূন্য পাতে।
কিছু মানুষের স্বাধীনতা সারা দেশের নয়,
কিছু মানুষের ভাল থাকা কেমনে পুরোটা দেশের হয়?
উর্বর জমিতে চাষ হয় দুর্বল স্বাধীনতা,
ক্ষুধার্ত মানুষের নেই ভিক্ষার স্বাধীনতা,
জীবনের কাছে এ কোন পরাজিত পরাধীনতা,
চারিদিকে লুটপাট আর আমলার উৎপাতের স্বাধীনতা,
হত্যা ও ধর্ষণের স্বাধীনতা।
হায়রে কি অবাক স্বাধীনতা,
এই কি দেশ মাতৃগর্ভের বাঁধন,
এই কি সাধনার ধন ?
দেশের নাগরিকের নেই কোন বাক স্বাধীনতা।
মাথাপিছু আয় যায় কার দুয়ারে,
রাস্তার ইট ভেসে যায় উন্নয়নের জোয়ারে।
বেঁচে থাকা আজ কেন শুধুই বিলাসিতা,
স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়ে আর
এই কী স্বপ্ন দেখেছিল জাতির পিতা ?
কেন জোয়ারে বাদাম তোলো নায়,
হাল-দড়ি কই, উল্টো লাগাম দিয়ে বাঁধো আপন পায়।
প্রাণের মূল্যে কেনা ভাই হারা ,পুত্র,জননীর সম্ভ্রম হারা ,
এই কি সেই স্বাধীনতা? প্রাণ দিয়েছে যার।
রক্ত হাতে মাখা তক্তের স্বাধীনতা,
এখন মৃত্যুর কন্ঠে কান্নার অপচয় রোধ,
নাম মাত্র দামে থমকে গেছে জীবনবোধ।