চরম বিভীষিকা/
কাজী আতীক
লোনা জল, লোনা জলে ভেজা বালিয়াড়ি,
দৃষ্টিসীমায় কেবল আকাশ জলের ছুঁয়াছুঁয়ি,
কারো পায়ের আলতা খসিয়ে রঙ্গিন
দিগন্ত সেজেছে বর্ণিল,
তাঁর সিঁদুরে টিপ খসিয়ে পলায়নপর সূর্য
আকাশ নীলে তাই মিশেছে রঙ আগুন বর্ণ,
উত্তাল সমুদ্র ঢেউয়ে তার প্রতিফলন
নিমগ্ন সুন্দর এক বিভাসিত বিস্ময়ের,
মুগ্ধ চোখ কবির সাগর সান্নিধ্যে আঁকে
অপরূপ ছবিকল্প শেষ বিকেলের!
দৃষ্টি নন্দনের খুঁজেই সবাই সাগরে যান,
প্রকৃতি সান্নিধ্যে কবি নিজেকে খুঁজে পান,
অথচ ইদানীং-
চরম অস্বস্তি লাগে সাগরের কাছে গেলে
চোখে ভাসে কেবল এক মনকষ্টের ছবি,
সাগর সৈকতে উপুড় হয়ে
নিথর শুয়ে থাকা শিশু এলান কুর্দি
কিংবা জলমগ্ন নিষ্প্রাণ শিশু ভ্যালেরিয়া
মৃত বাবার জামার ভেতর
মুখ লুকিয়ে যার শেষ আশ্রয়।
স্বদেশ মৃত্তিকাও আবার বিপর্যয়ের মুখোমুখি
খামছে ধরেছে কুৎসিত নৃশংস ঈগলের থাবা,
চারিদিকে আজ মানবেতর এক হীন মানবতা,
কবির চোখ তাই এখোন আনন্দহীন,
দেখতে পান কেবলই এক চরম বিভীষিকা।
(নিউ ইয়র্ক, ৩১ অক্টোবর ‘২০২৩)