বিনোদন প্রতিবেদক : বহু গুণী শিল্পীর জন্ম হয়েছে এই বাংলার মাটিতে। এই মাটিতে ছড়িয়ে থাকা অজস্র লোকসংগীতের সুর, বাণীই হয়তো এদেশের সাধারণ মানুষকে করেছে সংগীতপ্রীয়।
শত শত বছর ধরে নদী-কাদা-জলের এই দেশ বহু সংগীতগুণীকে জন্ম দিয়েছে, যাঁদের সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে। বিজয় কৃষ্ণ সরকার ( বিজয় সরকার) ঠিক তেমনই এক নাম। যাঁর সৃষ্টি বাংলা গান সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে দিন দিন ভীষণ প্রিয় হয়ে উঠছে।
গুনী এই মানুষটি গান গাওয়ার পাশাপাশি, লিখেন, সুর করেন এবং সংগীত পরিচালনার কাজও করেন অত্যান্ত দক্ষতার সাথে।
আজ আমরা কথা বলেছি গুনী এই সঙ্গীতজ্ঞের সঙ্গে ; আপনি একই সঙ্গে নিজে গানে কন্ঠ দিয়ে থাকেন, গান লিখেন, সুর করেন, এবং সংগীত পরিচালনা করেন এতোকিছু একলা কিভাবে সামলান, বিজয় সরকারঃ ” দেখুন, আমাদের দেশের বাতাসেই কিন্তু সুর ভেসে বেড়ায়, যেমন, গাঁয়ের মেঠোপথে গরু গাড়ির শব্দ, পরন্ত বিকেলে ভেসে আসা কোকিলের কুহুতান কিংবা বিসত্মীর্ণ সবুজে ধান কাটার মন্দ্র গতি মানুষের হৃদয়কে স্পন্দিত করে। প্রাত্যহিক জীবনে সবকিছুর মধ্যেই যেন একটা ছন্দ লুকিয়ে আছে।
আবার, নদীতে ঢেউ ভাঙার শব্দ, ঝড়ো হাওয়া, প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রের শব্দ সব মিলিয়ে প্রকৃতিই যেন আমাদের চারদিক শব্দে ও সুরে ভরে দিয়েছে। প্রকৃতির এই নানান লয়ের অনুরণন আমার মনে সুর ও ছন্দের বোধ তৈরি করে। ”
সুর নাকি বাণী কোনটা সৃষ্টিতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন; সুর ও বাণী নিয়েই নিবদ্ধ বাংলা গান। আর তা সঠিকভাবে পরিবেশনের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন সুরেলা কণ্ঠের। একটি গান তালে-লয়ে-সুরে গাইতে পারবেন সেই ব্যক্তি, যাঁর প্রতিভা ও সংগীতের মৌলিক বিষয়ে জ্ঞান আছে।
নতুনদের জন্য যদি কোন কথা থাকে আপনার, আমাদের দেশে সুরেলা কণ্ঠ বা সুন্দর গায়নশৈলী আছে এমন প্রতিভাবান শিল্পীর অভাব নেই। তবে গায়কের বুনিয়াদ তৈরি হয় শাস্ত্রীয় সংগীতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে । এই প্রশিক্ষণ তুলনামূলক কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ এবং কঠিন অধ্যবসায়ের দাবিদার। তাই উচ্চাঙ্গসংগীতে মনোনিবেশ করা থেকে অনেকেই বিরত থাকেন। বিষয়টি এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখা দেয় বলে দীর্ঘদিন গানের সঠিক মান বজায় রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমি চাই নতুনরা যেন এদিকে খেয়াল রাখেন।