বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিমান বহরে আরও দুটি নতুন এয়ারক্রাফট যোগ করা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিমানগুলোকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন। গতকাল সকালে নতুন কেনা ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ আকাশতরী এবং শ্বেতবলাকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তাগিদ দেন। খবর বাসস।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। সরকারে আসার পর এ পর্যন্ত ১৬টি নতুন বিমান ক্রয় করে বিমান বহরে যোগ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সর্বমোট এখন ২১টি উড়োজাহাজ আছে। এগুলো যেন সুরক্ষিত থাকে। তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে আমি অনুরোধ করব এটা আমাদের দেশ, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ আমরা স্বাধীন করেছি। তাই এ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা সবারই দায়িত্ব ও কর্তব্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশটা যত উন্নত হবে বা অর্থনৈতিকভাবে আমরা যত বেশি স্বাবলম্বী হতে পারব যাত্রীসেবা যত বেশি উন্নত করতে পারব, তাতে দেশের লাভ হবে। দেশের মানুষের লাভ হবে এবং আমাদের দেশটাও তত বেশি সামনে এগিয়ে যাবে। আমাদের নতুন বিমানগুলোয় ওয়াইফাই প্রযুক্তি সংযোজন করা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিমানে যারা যাতায়াত করেন তাদের বেকার বসে থাকা লাগবে না, সেখানে বসেই ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজটাও চালাতে পারবেন, সে সুযোগ আমরা তৈরি করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যখন সারা বিশ্বে ঘোরে, বিদেশে যখন যায় তখন বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে। সে জন্য সবসময় আমাদের প্রচেষ্টা ছিল যে এই বিমান যেন ভালোভাবে, সুন্দরভাবে আমরা গড়তে পারি। বিমানের সক্ষমতা বাড়ানোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, হজযাত্রীরা যখন যান, আগে বাইরে থেকে প্লেন নিয়ে আসতে হতো। এখন আমরা আমাদের নিজস্ব প্লেনেই হাজীদের খুব ভালোভাবে পাঠাতে পারি এবং ফেরত আনতে পারি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন অত্যাধুনিক টার্মিনালের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালালে অত্যন্ত আধুনিক টার্মিনাল আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি। যাতে প্লেন সেবাটা আরও উন্নত মানের হয়। আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে আসার পর রাজশাহী বিমানবন্দর, বরিশাল বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর সবই প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ২০০৯ সালে সরকারে আসার পর আবার সেগুলো চালু করি।
সরকার সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উন্নতি করছে, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী, বরিশাল সবগুলো বিমানবন্দর যেমন চালু করা হয়েছে পাশাপাশি কক্সবাজার বিমানবন্দরকে উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার রুটে কক্সবাজার বিমানবন্দর খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে নতুন কেনা বিমান দুটির ওপর ভিডিও তথ্যচিত্রও পরিবেশিত হয়।