বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পৌর এলাকার বড়খারচর আদর্শ নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার মোহতারিম ও স্থানীয় হেফাজত নেতা হাফেজ মাওলানা ইয়াকুব আলীর (৩৫) বিরুদ্ধে এক শিশুছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৮ এপ্রিল রাতে কুলিয়ারচর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইয়াকুব আলী উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল কাদিরের ছেলে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গতকাল বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা রুজু করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শিশুটি রহস্যজনক কারণে বেশ কিছুদিন ধরে মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছিলো না। এজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে মারধর ও শাসন করেও কাজ হচ্ছিল না। একপর্যায়ে শিশুটি মাদ্রাসার নাম করে তার মাকে নিয়ে থানার সামনে আসে। তার মা মনে করেন, মাদ্রাসা যাওয়া নিয়ে তাকে শাসন করায় যে হয়তো পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে চায়। এমন ভয়ে মা ছেলেকে থানার সামনে থেকে বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
বাসায় ফিরে শিশুটি তার মাকে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আবদুস সাত্তার মাস্টারের কাছে নিয়ে যেতে বলে। তখন তার মা মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি সাত্তার মাস্টারের কাছে শিশুটিকে নিয়ে যান। এসময় কমিটির সভাপতির কাছে ছেলেটি তার সঙ্গে ওই শিক্ষকের বর্বরোচিত ঘটনার বর্ণনা দেয়। সে জানায়, ওই শিক্ষক তাকে বলাৎকার করেছে। এমনকি এ ঘটনা কাউকে না বলতে পবিত্র কোরআন ছুঁইয়ে শপথও করিয়েছে। পরে শিশুটি সভাপতিকেও তাকে থানায় নিয়ে যেতে অনুরোধ করে।
এ ব্যাপারে পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটি জানায়, ইয়াকুব আলী তাকে রাত ২টার দিকে পরপর দুদিন ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলৎকার করে। বলাৎকারের পর পবিত্র কোরআন ছুঁইয়ে তাকে শপথ করানো হয়, যাতে সে এ ঘটনা কাউকে না বলে। এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসিন জানান, হাফেজ মাওলানা ইয়াকুব আলী স্থানীয় হেফাজতের একজন সক্রিয় নেতা। এমন কলঙ্কজনক ঘটনায় পৌরবাসীর পক্ষ থেকে তিনি তার কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
এদিকে অভিযুক্ত হাফেজ মাওলানা ইয়াকুব আলী’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।