বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন জলবায়ু পরিবর্তন কূটনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল শুক্রবার বিকালে গণভবনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ু সংক্রান্ত বিশেষ দূত জন কেরি সৌজন্য সাক্ষাত্কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকৈর পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ২২-২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ভার্চুয়াল লিডার্স সম্মেলনে যোগদানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। এ সময় আমন্ত্রণ গ্রহণ করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান জন কেরি। অন্ততপক্ষে ৪০টি দেশ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে।
বৈঠকে কেরি বলেন, বাংলাদেশ চাইলে তারাও বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ এর টিকা দিতে পারে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে টিকা উদ্বৃত্ত হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত দূষণের ঝুঁকি হ্রাস করতে জলবিদ্যুতের পাশাপাশি সৌরবিদ্যুত্ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিকল্প শক্তির উত্স ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলো অন্যদের সঙ্গে অংশীদার হয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবুজ জলবায়ু তহবিলের ১ মিলিয়ন ডলার ছাড়াও আরো ২ মিলিয়ন ডলার দেবে। কেরি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নিঃসারণকারী (কার্বন) নয় এবং নিঃসারণে যাদের অবদান নগণ্য, তারাও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে তিনি বলেছেন যে, তার দেশের উন্নয়নের জন্য জ্বালানি প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ভারত, ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে আঞ্চলিক ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপক্ষীয় উপায়ে জলবিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, দেশে ৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন সৌর সংযোগ রয়েছে, সৌরশক্তি সেচের জন্য প্রয়োজনীয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা আরো বলেন, তার সরকার জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি উদ্যোগে ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রায় ১১ দশমিক ৫ মিলিয়ন গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে এবং তার দলীয় নেতাকর্মীরা ১০ মিলিয়ন অন্য গাছও লাগিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জন কেরিকে বঙ্গবন্ধু রচিত কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী (ইংরেজি সংস্করণ) এবং সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেনস ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন, বাংলাদেশ:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিরিজের বই উপহার দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।