মাহফুজ আলম, পার্বত্যাঞ্চল থেকে : স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ গুলোসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে তিন পার্বত্য জেলায় নিয়োগের বিষয়টি নিবিড় তত্ত্বাবধান করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় পক্ষের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি তা অনুমোদন দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিবের কাছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এখন রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এ তিন পার্বত্য জেলায় জনবল নিয়োগের কাজ করছে পার্বত্য জেলা পরিষদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা প্রস্তাবে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে নিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের পরিস্থিতি প্রায়ই হয়। নিয়োগে এ ধরনের অনিয়ম হওয়ায় যোগ্য চাকরিপ্রত্যাশীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি। এতে আরও বলা হয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিত নিশ্চিত করা এবং পরিস্থিতির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর অধীনে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ (যখন যে মন্ত্রণালয়/বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা হবে) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিবিড় তত্ত্বাবধান করতে পারে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।
এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন জানিয়ে বলা হয়, এমতাবস্থায় অনুশাসন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ গুলোকে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন পাঠানোরও জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এই চুক্তির অধীনে সরকারি বিভিন্ন সংস্থাসহ ৩৩টি বিষয় পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তারিত হওয়ার কথা। কয়েকটি বাদে সবগুলো বিষয় ইতোমধ্যে হস্তান্তরিত হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী, তিন পার্বত্য জেলায় জনবল নিয়োগ জেলা পরিষদগুলোই করে থাকে।