মাহফুজ আলম, কাপ্তাই ( রাঙামাটি) থেকে : কাপ্তাই উপজেলার ৫নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডস্হ নোয়াপাড়া মারমা পাড়া অধ্যাশিত গ্রাম বাসির ভাগ্যে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জুটেনি একটি ডিপটিউবওয়েল ফলে এ এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে হাহাকার পড়েছে। খাবার পানি, ধোয়ামোছা এবং গোসলের পানির জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় প্রাকৃতিক উৎস পাহাড়ি ঝর্ণা.ছড়া ও বিকল্প গর্তের জমিয়ে উঠা পানির ওপর। অপর দিকে শুষ্ক মৌসুম অথাৎ ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত অধিকাংশ ঝর্ণার পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পানি সংগ্রহ করতে হয় পাহাড়ি ছড়ার ময়লাযুক্ত ঘোলা পানি, কিংবা টিলার নিচে তৈরি অগভীর গর্ত থেকে। অগভীর কুয়ায় চুইয়ে চুইয়ে আসা পানি বাটিতে করে তুলে ছেঁকে কলসি ভরাতে৷ এখান মানুষদের অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। এভাবেই নিত্যদিনের পানি সংগ্রহে রীতিমতো সংগ্রাম চলে নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের।
দুর্ভোগের শিকার নোয়াপাড়া এলাকার কারবারি সাজাই মারমা, সুুুশীল সমাজের প্রতিনিধি অংথোয়াই মারমা ও এলাকাবাসি বিডি২৪ভিউজ কে জানান, নিজেদের উদ্যোগে টাকা খরচ করে রিং টিউবওয়েল এবং কুয়ো স্থাপন করলেও পানিতে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ থাকার কারণে ব্যবহার অনুপযুগী। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। নোয়াপাড়ার বাসিন্দারা আরো জানান, নালা নর্দমা থেকে নেমে আসা ও ছড়ার ময়লাযুক্ত পানিই কাপড় দিয়ে ছেঁকে পান করতেন। কিন্তু এখন সেই সুযোগও পান না সেই ছড়ার পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিরন জিত তনচংগ্যা থেকে জানতে চাইলে তিনি বিডি২৪ভিউজ কে জানান আগামীতে নোয়াপাড়া এলাকায় পানির কল দেওয়ার চিন্তাধারা চলছে।
অপর দিকে জন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাপ্তাই উপ সহকারী প্রকৌশলী লিমন চন্দ্র বর্মন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি২৪ভিউজ কে বলেন বিষয়গুলো স্হানীয় জন প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বসবাস করা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কল নির্ধারণ করে থাকেন , সে অনুপাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ কাজ করে থাকেন। এলাকাবাসী একটি পানির প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নোয়াপাড়া পাহাড়ে বসবাস করা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিশুদ্ধ পানির সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন।