নিজস্ব প্রতিনিধি : নব্য সৃষ্ট নগর বাড়ী নৌ-বন্দরের এল.এস.সি ঘাট পয়েন্ট সূত্রোক্ত পত্রের মাধ্যমে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের চেয়ে বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বরাবর অবিযোগ করেন সর্বোচ্চ দর দাতা মো: গোলাম মোস্তফা । তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন আমি সর্বোচ্চ দর দাতা হলেও সম্পূর্ণ বে-আইনী ভাবে সরকারী বিপুল রাজস্ব তথা ৪০,০০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকা কম মূল্যে সূত্রোক্ত পত্রের মাধ্যমে জনৈক এজাজ আহম্মেদ সোহাগ এর নামে ইজারা সিদ্ধান্ত প্রদান করেন বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি২৪ভিউজের কাছে অভিযোগ করলে বিডি২৪ভিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের নিকট বিষয়টি জানতে ফোন করলে তিনি মেসেজে বিষয়টি লিখতে বলেন,বিষয়টি লিখে জানালে পরে বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের ফোন থেকে মেসেজে জানানো হয় আমরা কথা বলব । আপনি লিখিত জানালে ভাল হয় । পরে বিআইডাব্লিউটিএ জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান একজন পরিচালক এ বিষয়ে কথা বলবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি ফোন করেন নাই ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এজাজ আহম্মেদ সোহাগ বিডি২৪ভিউজকে জানান আমি Biwta এর একজন বৈধ ইজারাদার। Biwta কর্তৃক ঘাট, পয়েন্ট,খাল, টোল ইজারা নবায়নের বিজ্ঞাপন প্রকাশ হওয়ার পরে, আমি Biwta এর ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রাকলিত মুল্য ঘাট নেওয়ার জন্য আবেদন করি। বিজ্ঞাপনে বলাই আছে শুধু মাত্র বৈধ ইজারাদার গণই ২০২১-২২ অর্থ বছরের নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আমি অফিস এর সকল নিয়ম নীতি মেনে বৈধ ভাবে ঘাট পরিচালনা করে আসছি। নব্য সৃষ্ট নগরবাড়ি নৌ বন্দর এর এল এস সি ঘাট পয়েন্ট টি সরকারের নির্ধারিত মূল্য দিয়েই ইজারা গ্রহণ করা হয়েছে।
জনস্বার্থে বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বরাবর সর্বোচ্চ দর দাতা মো: গোলাম মোস্তফার আবেদনের কপি তুলে ধরা হলো :
বরাবর
চেয়ারম্যান
বি.আই.ডাব্লিউ.টি.এ
মতিঝিল, ঢাকা।
সূত্র: স্মরক নং- ১৮.১১.০০০০.০৬৩.২০.০২৫.২১/ (নবা.সাঃ)/৮৬২
বিষয়ঃ নব্য সৃষ্ট নগর বাড়ী নৌ-বন্দরের এল.এস.সি ঘাট পয়েন্ট সূত্রোক্ত পত্রের মাধ্যমে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার/বাতিল করত: সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে আমি মোঃ গোলাম মোস্তাফার অনুকূলে ইজারা প্রদান প্রসঙ্গে।
জনাব,
সম্মান পূর্বক বিষয়ে বর্ণিত প্রসঙ্গে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করত: নিবেদন এই যে, বিগত ২৯/০৫/২০২১ইং বাংলাদেশ প্রতিদিন সহ ০৩টি জাতীয় পত্রিকায় সমগ্র বাংলাদেশের ঘাট পয়েন্ট খাল ষ্টেশন টোল ইত্যাদি নবায়নে উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তাহার প্রেক্ষিতে আমি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের নগর বাড়ী এল.এস.সি ঘাট পয়েন্টটি ইজারা পাইবার জন্য ০৭/০৬/২০২১ইং তারিখে দরপত্র শর্তানুযায়ী ৫% আয়কর ১২,০০,০০০০/- (বার লক্ষ) টাকা, ১৫% ভ্যাট= ৩৬,০০,০০০/- (ছত্রিশ লক্ষ) টাকা, ইজারা মূল্যের ২৫% ৬০,০০,০০০/- (ষাট লক্ষ) টাকা (২,৪০,০০,০০০/- এর ২৫%)। করোনাকালীন আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে অতিকষ্টে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট হইতে ধার দেনা করিয়া এই টাকা সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষর নির্ধারিত ২,০০,০০,০০০/- (দুই কোটি) টাকার তদস্থলে আমি ২,৪০,০০,০০০/- (দুই কোটি চল্লিশ লক্ষ) টাকা ইজারা মূল্য এল.এস.সি পয়েন্ট ঘাটটির জন্য যথাযথ ভাবে আবেদন করি আপনার বরাবর। আমি সর্বোচ্চ দর দাতা হলেও সম্পূর্ণ বে-আইনী ভাবে সরকারী বিপুল রাজস্ব তথা ৪০,০০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকা কম মূল্যে সূত্রোক্ত পত্রের মাধ্যমে জনৈক এজাজ আহম্মেদ সোহাগ এর নামে ইজারা সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। (যাহা কপি সংযুক্ত)।
এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, আমার ইজারা দর ২,৪০,০০,০০০/- (দুই কোটি চল্লিশ লক্ষ) টাকা । তদস্থলে এল.এস.সি ঘাট পয়েন্টটি মাত্র ২,০০,০০,০০০/- (দুই কোটি ) টাকায় প্রদান করেন। যেক্ষেত্রে সরকারের ৪০,০০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকা তাহার উপর ৫% আয়কর = ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ১৫% ভ্যাট = ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা সহ সর্বমোট ৪৮,০০,০০০/- (আটচল্লিশ লক্ষ) টাকা সরকারী রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করিয়া বিধি বিধান সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করিয়া ইজারা প্রদান করেছেন বিধায় সরকারী রাজস্বের স্বার্থে এবং দেশের কল্যাণে এইরূপ কার্যকলাপ তথা ইজরা প্রদান বাতিল করত: আমি সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে আমার অনুকূলে ইজরা প্রদান ‘‘নতুবা সরকারী রাজস্বের স্বার্থে ওপেন টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টেন্ডারের সকলের অংশগহণের সুযোগ সৃষ্টি অতি আবশ্যক”।
নতুবা রাষ্ট্র তার প্রাপ্য রাজস্বথেকে বঞ্চিত হবে এবং আমি সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি ও হবো।
প্রার্থনা এই যে, উপরোক্ত অবস্থার কারণধীনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমার প্রার্থনা মতে ব্যবস্থা গ্রহণের স্বনির্বদ্ধ অনুরোধ জ্ঞাপন করছি।
ধন্যবাদান্তে,
মো: গোলাম মোস্তফা
সংযুক্ত :
১. বর্ণনা মোতাবেক ৭ তারিখের ইজারা প্রাপ্তির আবেদনের কপি সহ মোট ১৬ পাতা।
২. স্মারক নং – ১৮.১১.০০০০.০৬৩.২০.০২৫.২১/ (নবা.সাঃ)/৮৬২ পত্রের ফটোকপি-১ পাতা।
সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে :
১.চেয়ারম্যান : দুদক/কমিমনার তদন্ত,প্রধান কার্যালয়, সেগুনবাগিচা ,ঢাকা ।
২.বন্দর ও পরিবগন কর্মকর্তা,আরিচা নদী বন্দর বিআইডব্লিউটিএ,শিবালয়,মানিকগঞ্জ ।