পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘরগুলোর চারপাশে জমে আছে পানি। দেয়ালগুলোতে বড় বড় ফাটল। এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুজিবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল, দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আশয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীনদের জমি ও ঘর দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ঘর নির্মাণ শেষ হতে না হতেই ফাটল দেখা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ভেঙে দিচ্ছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার আটঘরিয়া উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৮৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে দেবোত্তর ইউনিয়নে অভিরামপুর গ্রামে ৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে ৩২টি ঘরে দেখা দিয়েছে ফাটল। আতঙ্কে অনেকেই ঘরে উঠছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘর নির্মাণে খুব নিম্নমানের ইট, বালি, সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: ফুয়ারা খাতুন ঘর নির্মাণের জন্য মিস্ত্রী বগুড়া থেকে এনে নিম্নমানের কাজ করেছেন বলে দাবী তাদের। স্থানীয় প্রশাসন কারো সাথে কথা না বলেই তাদের ইচ্ছে মতো ঘর নির্মাণ করেছে। এছাড়া সেখানে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে নিম্নমানের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তাই নির্মাণ করার সঙ্গে সঙ্গেই ঘরগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহায়মীনুল ইসলাম চঞ্চল বলেন, ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে সবেমাত্র। আর এই সময়ের মধ্যে ফাটল দেখা দেওয়ায় অনেকেই আতঙ্কে ঘরে উঠছে না। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার কথা জানালেন তিনি।
আর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: ফুয়ারা খাতুন বলেন, প্রথম পর্যায়ে যেসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে সেই ঘরগুলো ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘরগুলো ফেঁটে যাচ্ছে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘরগুলো মেরামতের কাজ চলছে।
আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, প্রথম পর্যায়ের ৮৫টি ঘরের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩২টি ঘরে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এর কারণে অনেকেই ঘরে উঠছে না। এসব ঘর পরিদর্শণ করেও সত্যতা মিলেছে। তিনি বলেন, ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও অবহেলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বরাবর এলাকাবাসী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত বলে মনে করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।